নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে স্টারলিং বাংলাবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল নতুন খাদ্যগন্তব্য নিউ ফাইভ স্টার কাচ্চি বিরিয়ানি হাউস। ২৩ নভেম্বর রোববার বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির উপস্থিতিতে নতুন এই রেস্টুরেন্টের উদ্বোধন সম্পন্ন হয় এবং উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় তাদের কার্যক্রম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম কর্ণধার। অনুষ্ঠানের শুরুতে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাবাজার মসজিদের দুই ইমাম, যেখানে রেস্টুরেন্টের সমৃদ্ধি এবং দেশ, প্রবাস ও বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনা করা হয়। এর আগে আগত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ফিতা কেটে রেস্টুরেন্টটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিভিন্ন প্রবাসী উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি লিডাররা। বাংলাবাজার বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং কমিউনিটি সংগঠকরা নতুন এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং রেস্টুরেন্টটির সফলতা কামনা করেন। বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসীর উপস্থিতিতে পুরো অনুষ্ঠান ছিল প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর। উদ্বোধনের পর অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় কাচ্চি ও চিকেন বিরিয়ানি পরিবেশন করে।
রেস্টুরেন্টের অন্যতম কর্ণধার বলেন, প্রবাসীদের জন্য ভিন্ন স্বাদ, আধুনিক মান এবং রুচিসম্মত খাবার পরিবেশনের প্রতিশ্রুতি নিয়েই তারা এ উদ্যোগকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তিনি আরও জানান, সবার সহযোগিতা আর ভালোবাসাকে মূল শক্তি হিসেবে নিয়ে মানসম্মত খাবার এবং অনুকরণীয় কাস্টমার সার্ভিস নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। প্রবাসী বাংলাদেশিদের তিনি আমন্ত্রণ জানান, যাতে তারা সুলভ মূল্যে উন্নতমানের খাবারের স্বাদ নিতে আসেন।
রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সতেজ খাবার পরিবেশন ও মানসম্মত সেবা প্রদানই তাদের মূল লক্ষ্য। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট খোলা থাকে এবং গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়। পাশাপাশি ক্যাটারিং সেবা এবং ফ্রি ডেলিভারির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে, যাতে গ্রাহকরা সহজেই তাদের পছন্দের খাবার ঘরে বসেই উপভোগ করতে পারেন।
নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদশিদের রন্ধনসংস্কৃতিকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে এবং মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করতে নিউ ফাইভ স্টার কাচ্চি বিরিয়ানি হাউস তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। প্রবাসী সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এই রেস্টুরেন্ট স্থানীয়দের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা।



