নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কমিউনিটি সংস্থা একটি সামাজিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিনামূল্যে হালাল গরম খাবার বিতরণ করেছে। ২৬ ডিসেম্বর শুক্রবার ব্রঙ্কসের ২১৩০ ওয়েস্টচেস্টার এভিনিউর কাজী ট্রাভেলস অ্যান্ড মাল্টি সার্ভিসের সামনে এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটি ছাড়াও বিভিন্ন কমিউনিটির অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করে।
বিনামূল্যে খাবার বিতরণ কার্যক্রমটি সংগঠনের সভাপতি পর্যবেক্ষণে এবং সাধারণ সম্পাদক পরিচালনায় সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তারা বলেন, কমিউনিটির মানুষের জন্য ছোট হলেও কার্যকর কোনো সহায়তা প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।
সংগঠনের সভাপতি বলেন, খ্রিস্টমাস উপলক্ষে কমিউনিটির কয়েকশ মানুষকে গরম হালাল খাবার প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে কমিউনিটির মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে। সভাপতি বলেন, “আমরা আমাদের কমিউনিটির মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে ধন্য। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।” তিনি এছাড়া এই কার্যক্রম সফল করতে যাদের অবদান রয়েছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এই উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তারা খাবার বিতরণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এবং উপস্থিত মানুষদের সুষ্ঠুভাবে খাবার পৌঁছে দিতে সহায়তা করেছেন। উপস্থিত মানুষদের মধ্যে অনেকেই অনুষ্ঠানের আয়োজন ও বিতরণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এই ধরনের কার্যক্রম আরও বেশি সময় ধরে চালানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বলেন, কমিউনিটির কল্যাণে ছোট ছোট উদ্যোগগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। তারা বলেন, খাবারের মাধ্যমে শুধুমাত্র পেটের তৃপ্তি নয়, বরং কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সামাজিক বন্ধন ও একতার অনুভূতিও বৃদ্ধি পায়।
এই কার্যক্রমটি স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে। সংগঠনটি আশা প্রকাশ করেছে, ভবিষ্যতেও কমিউনিটির জন্য এ ধরনের উদ্যমী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং আরও বেশি মানুষকে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হবে।
বাংলাদেশী কমিউনিটি সংস্থার এই উদ্যোগ স্থানীয় মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এটি প্রমাণ করে যে কমিউনিটির মানুষদের জন্য সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক এবং সংগঠনের প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, হালাল খাবার বিতরণের মতো উদ্যোগ সামাজিক সংহতি বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
উল্লেখ্য, এই ধরনের কার্যক্রম কমিউনিটির মানুষদের মধ্যে উৎসবকালীন আনন্দ বৃদ্ধি এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশের সুযোগ করে দেয়। ফলে, শুধুমাত্র খাবার বিতরণ নয়, বরং সামাজিক সংহতি ও মানবিক মূল্যবোধও বৃদ্ধি পায়।



