মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার থেকে শুরু করতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যে তার দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফর। তবে এ সফরের সময় ব্রিটেন রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত অবস্থায় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই সফরের আয়োজন করে নিজের অবস্থান শক্ত করতে এবং মার্কিন নেতাকে সন্তুষ্ট করতে চাইলেও উল্টো তিনি চাপে পড়েছেন। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে এপস্টিন কেলেঙ্কারির কারণে পদচ্যুত করা হয়েছে, যা সরকার প্রধানের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে তার উপপ্রধানও কর জটিলতায় পদত্যাগ করেছিলেন। ফলে জনমনে অসন্তোষ বেড়েছে এবং ডানপন্থী রিফর্ম ইউকে দলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
গত সপ্তাহে রাজধানীতে ডানপন্থী একটি বিক্ষোভে লাখো মানুষ অংশ নেয়। সেখানে সহিংস অতীতের জন্য পরিচিত এক নেতার পাশাপাশি ট্রাম্পের সাবেক ঘনিষ্ঠ সহযোগীও অংশ নেন, যিনি সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানান। এ বক্তব্য তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
অন্যদিকে, রাজপরিবারও সমালোচনার মুখে রয়েছে। একদিকে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর নাম আবারও এপস্টিন ইস্যুতে আলোচনায় এসেছে, অন্যদিকে রাজা চার্লসের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারির সাক্ষাৎ দুই বছরের দূরত্ব কাটানোর ইঙ্গিত দিলেও সিংহাসনের উত্তরসূরি প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে সম্পর্ক এখনও শীতল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের সফর ব্রিটিশ রাজনীতি ও সমাজের অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যদিও রাজকীয় আয়োজন, লাল গালিচা ও ভোজসভা আয়োজনের মাধ্যমে শক্তির বার্তা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে, বাস্তবে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার অভ্যন্তরীণ চাপে রয়েছেন।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ ব্রিটিশ নাগরিক ট্রাম্পকে অপছন্দ করেন এবং প্রায় অর্ধেক মানুষ তার সফর বাতিল করার পক্ষপাতী। ফলে এই সফর শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক টানাপোড়েনকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।