গাজা উপত্যকায় প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। এর মধ্যেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, দীর্ঘমেয়াদে ইসরায়েল কূটনৈতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়তে পারে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান পরিস্থিতির কারণে দেশকে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতার মুখোমুখি হতে হবে, যা বছরের পর বছর স্থায়ী হতে পারে। এ অবস্থায় স্বনির্ভর হওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, বিদেশি বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো এখন জরুরি। বিশেষ করে অস্ত্রশিল্পে দেশকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, ইসরায়েলকে এমন এক সামরিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যা দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বারবার সতর্ক করলেও তেলআবিব তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে রাজি হয়নি। সংস্থাগুলো বলছে, অব্যাহত হামলা আরও মৃত্যু ও ধ্বংস ডেকে আনবে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালানোর অভিযোগও জোরদার হচ্ছে, যদিও দেশটি এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।
এরই মধ্যে ইউরোপের কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের ওপর আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সাবেক মার্কিন প্রশাসনের আমলে অস্ত্র সরবরাহে বিলম্ব ঘটলেও পরবর্তীতে তা দ্রুত অনুমোদন করা হয়।
এদিকে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ, সেনাবাহিনী এবং জিম্মিদের পরিবার যুদ্ধ জোরদারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দাবি, এতে মানবিক বিপর্যয় আরও তীব্র হবে এবং জিম্মিদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে। তবুও দেশটির সরকার যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।