যুক্তরাষ্ট্রে এক কনজারভেটিভ কর্মীর হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্তের পরিচয় প্রকাশ হলেও তার উদ্দেশ্য ও রাজনৈতিক বিশ্বাস নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণের বয়স ২২ বছর এবং তিনি ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। বর্তমানে তিনি একটি টেকনিক্যাল কলেজে বৈদ্যুতিক শিক্ষা কর্মসূচির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
অভিযুক্তের বাবা-মা রিপাবলিকান ভোটার হলেও তার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুছে ফেলা কিছু ছবিতে তাকে পরিবারের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা গেছে। এদিকে তদন্তে সহযোগিতা করছেন অভিযুক্তের সঙ্গী, যিনি ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়ে আছেন বলে জানা গেছে।
ইউটাহর গভর্নর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি ‘লেফটিস্ট’ মতাদর্শে প্রভাবিত ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পাওয়া গেছে। তবে কিভাবে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। অপরদিকে কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত তার সঙ্গীর পরিচয়কে কেন্দ্র করে ভিন্নমত পোষণ করতেন এবং কনজারভেটিভ কর্মীর বক্তব্যকে ‘বিদ্বেষমূলক’ বলে মনে করতেন।
ঘটনার পর গভর্নর আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, “আমি প্রার্থনা করেছিলাম, যদি এমন কিছু ঘটে তবে সেটা যেন আমাদের কমিউনিটির কেউ না হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তা হয়নি।” তার বক্তব্যে ঐক্য ও মানবিকতার বার্তা পাওয়া গেলেও রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে।
একদল রিপাবলিকান নেতা মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন। তবে অনেকে অভিযুক্তের পরিবার, বিশেষ করে বাবার সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন, যিনি ছেলেকে কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন।
অন্যদিকে কট্টরপন্থী ডানপন্থী বিশ্লেষকরা অভিযোগ করেছেন, উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ এটিকে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তবে অভিযুক্তের পরিবারকে সুখী ও স্বাভাবিক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
হত্যার ঘটনায় দেশব্যাপী রাজনৈতিক বিভাজন আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। কেউ এটিকে আদর্শগত সহিংসতার প্রতিফলন বলছেন, আবার কেউ মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতিকে দায়ী করছেন। তদন্ত এখনো চলমান, এবং কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি।