মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিচার কেবল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেই হবে, অন্য কোনো আদালতে নয়—এমন মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর।
তিনি বলেন, এই ধরনের অপরাধের বিচার কোনো অভ্যন্তরীণ সামরিক আদালত বা দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আদালতে সম্ভব নয়। বিষয়টি আইনেই সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
আজ দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ অনুষ্ঠিত একটি মামলার শুনানিতে এ প্রসঙ্গ ওঠে। জুলাই মাসে সংঘটিত এক গণ-অভ্যুত্থানের সময় আশুলিয়ায় ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর। বক্তব্য শেষে ট্রাইব্যুনাল প্রশ্ন তোলে—ডিফেন্সের উচ্চপদস্থ সদস্যদের বিচার এই ট্রাইব্যুনালে হবে নাকি অন্য কোনো ট্রাইব্যুনালে।
এর জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “এই প্রশ্ন সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। আইন সংশোধন করে ইতোমধ্যেই সশস্ত্র বাহিনীকে এই আইনের আওতায় আনা হয়েছে।” এ সময় তিনি আইনের বিভিন্ন ধারা-উপধারা তুলে ধরে বিষয়টির আইনি ভিত্তি ব্যাখ্যা করেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ মূলত সশস্ত্র ও অক্সিলিয়ারি বাহিনীর বিচারের জন্য প্রণীত হয়েছিল। পরবর্তীতে সংশোধনের মাধ্যমে অন্য বাহিনীর সদস্যদেরও এতে যুক্ত করা হয়। ফলে রাষ্ট্রীয় বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা যদি পরিকল্পিত ও ব্যাপক আকারে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকে, তবে তাদের বিচারও কেবল এই ট্রাইব্যুনালেই হবে।
তিনি স্পষ্ট করে জানান, এ ধরনের অপরাধের বিচার কোনো সামরিক আদালত কিংবা দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আদালতের এখতিয়ারে পড়ে না। একমাত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালই এই বিচার করতে পারবে