ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আর বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ শেষে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে ভিড় করতে থাকেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। সবার চোখ এখন ফলাফলের দিকে। কেন্দ্রের বাইরে জটলা বেঁধে চলছে আলোচনা, জল্পনা-কল্পনা। ভেতরে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন কেবল পোলিং এজেন্ট ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ভোট গণনা শুরু হলে প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি কার্যক্রম প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
টানা আট ঘণ্টার ভোটগ্রহণ হয় মোট আটটি কেন্দ্রে। তবে কত শতাংশ ভোট পড়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, যদিও কেন্দ্রভেদে এ হার কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। শিক্ষার্থীদের সাড়া আশানুরূপ বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
এদিকে, ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিকেল থেকেই শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় উৎসুক জনতার উপস্থিতি বেড়েছে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকরাও রয়েছেন বলে জানা গেছে। পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডাকসুর এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার ২০ হাজার ৯১৫।
ভোটে ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ছাত্রী প্রার্থী রয়েছেন ৬২ জন। একইসঙ্গে প্রতিটি হল সংসদের ১৩টি করে মোট ১৮টি হলে পদ সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে লড়ছেন এক হাজার ৩৫ জন প্রার্থী।