অ্যাডিলেডে চলমান অ্যাশেজ টেস্টে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার জন্যে আজও রয়ে গেছে চ্যালেঞ্জের মধ্যে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে। অর্থাৎ আগামীকাল শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের হাতে রয়েছে মাত্র ৪ উইকেট এবং প্রয়োজন ২২৮ রান। এই পরিস্থিতিতে বাজি ধরার প্রবণতা প্রায়ই অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে থাকে।
চতুর্থ দিনের শুরুতে ইংল্যান্ডকে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে যেখানে দিনের শেষের সেশন পর্যন্ত জয়ের সুযোগ প্রায় নেমে আসে শূন্যে। দিনের শেষের দশ বলের মধ্যে ব্যাটসম্যানদের আউট হওয়ার ফলে সম্ভাব্য অলৌকিক জয় এখন প্রায় অসম্ভব। এমন পরিস্থিতিতে ড্র বা জয় নিয়ে হিসাব-নিকাশ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ দিনের শুরুতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ ওভারে ৪ উইকেটে ২৭১ রান সংগ্রহ করেছিল। দিনের খেলায় তারা ১৮.৪ ওভার খেলে ১৪২ রানে আগের দিন অপরাজিত থাকা ট্রাভিস হেডকে ১৭০ রানে আউট করে। এছাড়া ক্যারি নিজের ইনিংসে আরও ২০ রান যোগ করে ৭২ রানে আউট হন। শেষে অস্ট্রেলিয়া ৩৪৯ রানে অলআউট হয়, যা ইংল্যান্ডের জন্য ৪৩৫ রানের জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু ছিল চ্যালেঞ্জিং। দ্বিতীয় ওভারের মধ্যে ওপেনার বেন ডাকেট আউট হন প্যাট কামিন্সের শিকার হয়ে। ১০ম ওভারে ওলি পোপও আউট হন মারনাস লাবুশেনের অসাধারণ ক্যাচে। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে কামিন্সের এটি ১৫০তম উইকেট। এরপর জো রুটকে আউট করে কামিন্সের উইকেট তালিকায় আরও একটি যোগ হয়। রুটের আউটের পর ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৯।
তবে ইংল্যান্ডের পাল্টা প্রতিরোধও চোখে পড়েছে। ওপেনার হিসেবে নিজের শততম ইনিংসে জ্যাক ক্রলি ১৫১ বলে ৮৫ রান করেন। এছাড়া তৃতীয় উইকেটে রুটের সঙ্গে ৭৮ ও চতুর্থ উইকেটে হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ড কিছুটা সংগ্রহ ধরে রাখতে সক্ষম হয়। কিন্তু নাথান লায়নের বোলিংয়ে অপ্রয়োজনে রিভার্স সুইপ করার ফলে ব্রুক ৩০ রানে আউট হন।
শেষ সেশনে ইংল্যান্ড ৩৬ ওভারে ১০১ রান তুললেও ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায়। দিনের খেলা শেষ হয় উইল জ্যাকস ও জেমি স্মিথের অবিচ্ছিন্ন ১৩ রানের জুটিতে, হাতে ৪ উইকেট এবং জয়ের জন্য ২২৮ রান রেখে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (চতুর্থ দিন শেষে):
অস্ট্রেলিয়া: ৩৭১ ও ৩৪৯ (হেড ১৭০*, ক্যারি ৭২, খাজা ৪০; টাং ৪/৭০, কার্স ৩/৮০, আর্চার ১/২০)
ইংল্যান্ড: ২৮৬ ও ২০৭/৬ (ক্রলি ৮৫, রুট ৩৯, ব্রুক ৩০, পোপ ১৭; কামিন্স ৩/২৪, লায়ন ৩/৬৪, বোল্যান্ড ০/২৩, স্টার্ক ০/৩৫)



