উত্তর আমেরিকার বায়ু ভ্রমণে এক বিশেষ সুবিধা চালু হয়েছে, যেখানে যাত্রীরা অর্থ প্রদান ছাড়াই ইকোনোমি ক্লাসে বিয়ার ও ওয়াইন উপভোগ করতে পারবেন। এই উদ্যোগ নিয়ে বিমানপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি মূলত যাত্রীদের অতিরিক্ত ব্যাগ এবং লেগরুমের জন্য প্রযোজ্য ফি সম্পর্কে সন্তুষ্টি বাড়ানোর একটি প্রচেষ্টা।
একই সময়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানপরিচালনা ব্যবস্থার জন্য চাপ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি শাটডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশের ফলে প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে যেমন শিকাগো ও’হার, হলিউড বার্ব্যাঙ্ক এবং নিউয়ার্কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের ইউনিয়ন তাদের সদস্যদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও, বেতন না পাওয়ার কারণে কর্মী উপস্থিতির সংখ্যা কমে যাওয়া অপ্রত্যাশিত নয়। এই পরিস্থিতি যাত্রীদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে বিলম্ব বা ফ্লাইট বাতিলের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এই সংক্রান্ত ঝুঁকি ও উত্তেজনা বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিল হলে যাত্রীরা কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন। বিমান চলাচলের অন্যান্য ঝুঁকি যেমন প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ফ্লাইট বাতিল বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ (যেমন পূর্ব উপকূলে সম্ভাব্য নরইস্টার) এসময় যাত্রীদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।
উত্তর আমেরিকার ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হলো, কানাডিয়ান বিমানপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, সমস্ত ইকোনোমি ক্লাস যাত্রীদের জন্য ফ্লাইটে বিনামূল্যে বিয়ার ও ওয়াইন সরবরাহ করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির লয়ালটি ও প্রোডাক্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “খাদ্য ও পানীয় সেবার মান যাত্রী সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে অন্যান্য সেবার তুলনায় অনেক বেশি প্রভাব ফেলে।”
ইতিমধ্যে কানাডার আতিথেয়তা সম্প্রতি আবারও সংবাদ শিরোনামে এসেছে। দেশটির পর্যটন প্রচারাভিযান, যা দয়া ও বিনামূল্যে আলিঙ্গনের জন্য ভাইরাল হয়েছে, সেটি দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
উত্তর আমেরিকার বিমান চলাচলে সাম্প্রতিক সপ্তাহে সবচেয়ে বড় খবরটি ট্রাফিক কন্ট্রোলার ঘাটতি হলেও, বিমানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং ইতিহাসও আলোচ্যবিষয় ছিল। ইউরোপের একটি জেটলাইনার, এয়ারবাস A320 পরিবার, বিয়িং 737 কে পেছনে ফেলে সর্বাধিক সরবরাহকৃত বিমান হিসাবে ইতিহাস গড়েছে। সারিয়ামের (Cirium) তথ্য অনুযায়ী, 1988 সাল থেকে A320neo বিমানটি এখন পর্যন্ত ১২,২৬০টি ডেলিভারি সম্পন্ন করেছে। উভয় বিমান, A320 এবং 737, স্বল্পপরিসরের ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয় এবং কম খরচে চলাচলকারী এয়ারলাইন্সের প্রিয় পছন্দ।
এশিয়ায়ও বিমান চলাচলে বড় অর্জন ঘটেছে। ভারতের নতুন নবী মুম্বাই আন্তর্জাতিক মেগা-এয়ারপোর্ট অবশেষে খোলা হয়েছে, যা প্রথম পরিকল্পিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। পাহাড়গুলো সমতল করা হয়েছে এবং নদীগুলো পরিবর্তিত হয়েছে, ফলে মুম্বাইয়ের একমাত্র প্রধান বিমানবন্দর চাত্রাপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রী চাপ হ্রাস পেয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই নতুন উদ্যোগ, রেকর্ড ও বিমান সুবিধার মাধ্যমে যাত্রীরা নিরাপদ, আরামদায়ক এবং উন্নত মানের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন।



