আরব আমিরাতের টি-টোয়েন্টি লিগ ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে দুবাই ক্যাপিটালসের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান নিজের বোলিং দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। দুই ম্যাচে মোট চারটি উইকেট তুলে নিয়ে তিনি দলকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান দিয়েছেন।
গত শনিবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এই ম্যাচে তাঁর বোলিংয়ে মোট ১৩টি ডট বল ছিল, যা প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল। ম্যাচে অবশ্য দুবাই ক্যাপিটালসের পরাজয় হয়, কিন্তু মোস্তাফিজের বোলিং ছিল নজরকাড়া।
পরের দিন আবুধাবি নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বাংলাদেশের এই পেসার। মাত্র ৩ ওভারে ২২ রান খরচ করে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এই ম্যাচে তিনি ১১টি ডট বল দিয়েছেন। এভাবে দুই ম্যাচে মোস্তাফিজ ৪২টি বৈধ ডেলিভারির মধ্যে ২৪টি বল ডট রেখেছেন। মোট উইকেট চারটি এবং রান দিয়েছেন ৪৮।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৮৬ রান সংগ্রহ করে দুবাই ক্যাপিটালস। তাড়া করতে নেমে আবুধাবি ক্যাপিটালস ১৫.৩ ওভারে ১০৩ রানে অলআউট হয়। আবুধাবির ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১ বলে ২৭ রান করা ওপেনার এবং চারে নামা অন্য ব্যাটসম্যানকে ফেরান মোস্তাফিজ।
দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে উন্মুক্ত চাঁদকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন মোস্তাফিজ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে আবারও এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান। ওই ওভারে তিনি ১১ রান খরচ করেন, কিন্তু চতুর্থ ব্যাটসম্যানকে কাভারে ক্যাচে পরিণত করার মাধ্যমে দারুণ প্রভাব রাখেন। ইনিংসের ১৫তম ওভারে ৭ রান দিয়ে আবারও দলের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি।
নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর এটাই প্রথম জয় দুবাই ক্যাপিটালসের। মোস্তাফিজ খেলেন এই দুই ম্যাচেই, যেখানে আবুধাবির বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা দলের ব্যাটসম্যান রোভম্যান পাওয়েল ৫২ বলে ৯৬ রান করেন। এই ইনিংসে ৪টি ছক্কা এবং ৮টি চারের মাধ্যমে তিনি দলের জয়ের ভিত্তি তৈরি করেন। এছাড়াও, জর্ডান কক্স ৩৬ বলে ৫২ রান করেন।
দুবাই ক্যাপিটালস আগামী ১৩ ডিসেম্বর নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে আবারও আবুধাবি নাইট রাইডার্সের সঙ্গে মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে মোস্তাফিজের বোলিং আবারও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে তার ধারাবাহিক ডট বল এবং উইকেট সংগ্রহের দক্ষতার কারণে।



