চলতি বছর এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৬ জন অভিবাসী ছোট নৌকা ব্যবহার করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন। সরকারি সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা ৪৬ শতাংশ বেশি। সোমবার (২৫ আগস্ট) এ তথ্য প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের অভিবাসন নীতিকে ঘিরে চাপ আরও বেড়েছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী
গত রবিবার মাত্র একদিনে আরও ২১২ জন অভিবাসী চারটি নৌকায় চড়ে ব্রিটেনে পৌঁছান। এর ফলে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়।
অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা
অভিবাসন নিয়ে যুক্তরাজ্যে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে। আশ্রয়প্রার্থীদের রাখা বিভিন্ন হোটেলের সামনে নিয়মিত অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। তবে হোম অফিস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
গত সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব লন্ডনের এপিং এলাকার একটি হোটেল থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার আদালতের সিদ্ধান্ত ঘিরে সারা দেশে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
সরকারের প্রতিশ্রুতি
স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের হোটেলে রাখার প্রথা ধাপে ধাপে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার সরকার জানায়, আশ্রয় আপিলের প্রক্রিয়া দ্রুত করার এবং বর্তমানে থাকা এক লাখেরও বেশি মামলার জট কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সরকারি তথ্য বলছে, গত বছর আশ্রয়ের আবেদন রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। একই সঙ্গে আগের তুলনায় অনেক বেশি মানুষকে হোটেলে আশ্রয় দিতে হচ্ছে।
বিরোধীদের দাবি
এদিকে ডানপন্থি রিফর্ম ইউকে দলের নেতা নাইজেল ফারাজ ছোট নৌকায় আসা অভিবাসীদের জন্য কঠোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। সাম্প্রতিক জরিপে তার দল শীর্ষে রয়েছে। ফারাজের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—
-
ব্রিটেনকে ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন থেকে প্রত্যাহার
-
আশ্রয়ের আবেদন পুরোপুরি নিষিদ্ধকরণ
-
২৪ হাজার মানুষের জন্য নতুন আটক কেন্দ্র তৈরি
তিনি দ্য টাইমস–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আফগানিস্তান ও ইরিত্রিয়ার মতো দেশের সঙ্গে পুনঃপ্রত্যাবাসন চুক্তি করা হবে এবং প্রতিদিন নির্বাসন ফ্লাইট চালানো হবে।