দিনের তিন বেলার খাবারের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে হালকা নাশতা খাওয়া দরকার হয়। তবে সেসব নাশতা যদি হয় ফাস্ট ফুড, ভাজাপোড়া, কেক, বিস্কুট বা চানাচুর—তাহলে তা শরীরের জন্য তেমন ভালো নয়। তার পরিবর্তে ফলমূল হতে পারে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকের অন্যতম সেরা বিকল্প। এর মধ্যে কলা ও খেজুর দুইটিই বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—এই দুটির মধ্যে কোনটি আসলেই বেশি উপকারী?
কেন দরকার স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক?
অফিস বা পড়াশোনার ফাঁকে ছোটখাটো স্ন্যাক খেলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। এতে কাজের চাপ কমে এবং হঠাৎ মেজাজ খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। হাতে কলা পাওয়া সহজ, আবার কেউ কেউ শুকনা খাবারের মধ্যে খেজুর সঙ্গে রাখেন। তবে এই দুই ফলের মধ্যে কোনটি বেশি স্মার্ট স্ন্যাক—তা নিয়ে মত দিয়েছেন এক গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান।
কলার উপকারিতা
- কলা সহজপাচ্য এবং দ্রুত শক্তি জোগায়।
- এতে রয়েছে পেকটিন নামের দ্রবণীয় আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে সাহায্য করে।
- দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে বলে ওজন নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর।
- কলা পটাশিয়াম ও বিভিন্ন খনিজ উপাদানের ভালো উৎস।
- ধোয়া বা ঝামেলা ছাড়াই সঙ্গে সঙ্গেই খাওয়া যায়।
- খেজুরের তুলনায় দামেও সাশ্রয়ী।
খেজুরের উপকারিতা ও সীমাবদ্ধতা
- খেজুরেও আছে আঁশ, পটাশিয়াম ও কিছু ক্যালসিয়াম।
- এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি জোগায়।
- তবে ক্ষুধা মেটাতে এক-দুটি খেজুর যথেষ্ট নয়, বেশি খেতে হয়।
- অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে।
- খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হয়, কারণ ভেতরে পোকা থাকতে পারে।
- সব জায়গায় সহজে খাওয়ার সুযোগ নাও পাওয়া যেতে পারে।
চূড়ান্ত মতামত
অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের চেয়ে যেকোনো ফলই ভালো। তবে তুলনায় কলা কিছুটা এগিয়ে। বিশেষ করে যারা দ্রুত শক্তি পেতে চান, তাদের জন্য কলা স্মার্ট স্ন্যাক হিসেবে বেশি কার্যকর। তবে একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রয়োজন অনুযায়ী খেজুর বা কলা—দুটির যেকোনোটি খেতে পারেন।