জার্সির পর্যটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী বছরে প্রতিবেশী ফ্রান্স থেকে আগত পর্যটকদের সংখ্যা পুনরুদ্ধারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জানান, ২০২৫ সালে ফরাসি পর্যটকের আগমন কমে যাওয়ার প্রভাব স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়েছে।
জানা গেছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায় দ্বীপটি পরিদর্শন করেছেন মোট ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ জন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭৯ হাজার ৩০০ কম। কর্তৃপক্ষের মতে, ফেরি সেবা প্রদানকারীর পরিবর্তন এবং সংশ্লিষ্ট চুক্তি প্রক্রিয়ার বিলম্ব এঘটনার অন্যতম কারণ।
পর্যটন বোর্ডের নির্বাহী প্রধানের ভাষ্য, পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন অপারেটরের কাছে ফেরি সেবা হস্তান্তরে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দেওয়ায় টিকিট বিক্রি ইচ্ছাকৃত সময়ে শুরু করা যায়নি। তার মতে, আলোচনার বিলম্বের ফলে বিক্রয় কার্যক্রম পিছিয়ে যায় এবং বিশেষভাবে ফ্রান্স থেকে ফেরি পরিবহনে কিছু ব্যবসা হারাতে হয়, যা পরবর্তীতে আর পুষিয়ে নেওয়া যায়নি। তাই আগামী বছরে ফরাসি বাজার পুনরুদ্ধারে জোর দেওয়া হবে।
নতুন ফেরি অপারেটর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকারের সঙ্গে সেবা প্রদান সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এবং কার্যক্রম শুরু হয় ২৮ মার্চ। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, স্বল্প প্রস্তুতি সময়ের কারণে ফেরি টিকিট শিল্পের স্বাভাবিক সময়সীমায় বাজারে আনা সম্ভব ছিল না, যা অগ্রিম বুকিংয়ে প্রভাব ফেলেছে। তবে চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর দ্রুতগতিতে সংশ্লিষ্ট বন্দরের সঙ্গে সমন্বয় করে জানুয়ারির শেষ ভাগে সময়সূচি প্রকাশ করা হয়, যাতে দ্রুত বুকিং চালু করা যায়। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, ২০২৬ সালের সময়সূচি অক্টোবরে প্রকাশ করা হয়েছে, যা পর্যটকদের জন্য আরও দীর্ঘ বুকিং সুযোগ তৈরি করেছে।
অন্যদিকে সর্বশেষ ভ্রমণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জার্সি ভ্রমণ করেছেন ৫৩ হাজার ৩০০ জন, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১০ হাজার ৯০০ কম। সেপ্টেম্বর মাসে রাতযাপনসহ অবকাশযাপনমূলক ভ্রমণ ছিল ৩১ হাজার ৩০০, যা কমেছে ৬ হাজার ৭০০। একই সময়ে গড় রাতযাপনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭, যা আগের বছরের ৪ দশমিক ৪ রাতের তুলনায় বেশি।
পর্যটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের প্রস্থান-সমীক্ষা বা এক্সিট সার্ভের নতুন ওজন-নির্ধারণ পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে এ বছরের সঙ্গে আগের বছরের পরিসংখ্যান সরাসরি তুলনাযোগ্য নয়।
তবে নির্বাহী প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২০২৬ সাল থেকে একটি শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন জার্সিতে তাদের ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দ্বীপের পর্যটন খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।



