পর্তুগাল জাতীয় দল আজ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচটি দলটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিতলে পর্তুগাল নিশ্চিতভাবে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে, এমনকি ড্র হলেও সম্ভাবনা অল্প হলেও রয়ে যাবে। তবে হারলে দলকে প্লে-অফের দিকে যেতে হতে পারে, যা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরা দিচ্ছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পর্তুগালকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে, কারণ দলের সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এই ম্যাচে খেলতে পারছেন না। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়ার কারণে রোনালদোকে আজকে মাঠের বাইরে বসে থাকতে হবে।
রোনালদোর লাল কার্ডের ফলে এক ম্যাচের বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটি পরে সিদ্ধান্ত দেবে, যে নিষেধাজ্ঞা এক ম্যাচে সীমাবদ্ধ থাকবে কি না, নাকি আরও বাড়ানো হবে। এই পর্যায়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে, কারণ রোনালদো যদি দুই থেকে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন, তাহলে পর্তুগালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম একটি বা দুটি ম্যাচই তিনি মিস করবেন।
রোনালদোর লাল কার্ড পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ৬১তম মিনিটে। তিনি ডিফেন্ডারকে কনুই দিয়ে আঘাত করেছেন, যা রেফারিকে প্রাথমিকভাবে হলুদ কার্ড দেখাতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু ভিএআরের মাধ্যমে ঘটনার পুনর্বিবেচনা করলে রেফারি লাল কার্ড দেখান। এই পরিবর্তন নির্দেশ করছে, রেফারির কাছে ঘটনাটি গুরুতর আক্রমণ হিসেবে ধরা হয়েছে।
ফিফা শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী লাল কার্ডের ন্যূনতম শাস্তি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। তবে গুরুতর ফাউল বা সহিংস আচরণের ক্ষেত্রে শাস্তি দুই থেকে তিন ম্যাচ পর্যন্ত হতে পারে। রোনালদোর কনুই মারাকে ফিফা গুরুতর সহিংস আচরণ হিসেবে বিবেচনা করতে পারে, যা তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর আগে, চলতি মৌসুমে অন্যান্য খেলোয়াড়কে এমন আচরণের জন্য দুই থেকে তিন ম্যাচের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতি পর্তুগালের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মাত্র তিনটি ম্যাচ থাকে। যদি রোনালদো নিষিদ্ধ হন, তাহলে তিনি প্রথম দুটি ম্যাচ মিস করতে পারেন, যা দলের জন্য বড় প্রভাব ফেলবে। তবে বিশ্বকাপের শুরু এখনও ছয় মাস দূরে। মার্চের ফিফা উইন্ডোতে পর্তুগাল কিছু প্রীতি ম্যাচ খেললেও রোনালদোকে শাস্তি কার্যকর হবে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেই।
রোনালদোর শাস্তি কত ম্যাচের হবে, তা জানার জন্য সবাই অপেক্ষায়। সাধারণত ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটি ঘটনার পরবর্তী মাসের শুরুতে রায় ঘোষণা করে। গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে ৫ ডিসেম্বর দেখা দিয়েছে, যখন ২০২৬ বিশ্বকাপের সূচি চূড়ান্ত হবে। ওই সময়ের কাছাকাছি রোনালদো জানতে পারবেন তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কত।
যদি রোনালদো দুই বা তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন, তাহলে তিনি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ বা প্রথম দুটি ম্যাচ মিস করতে পারেন। এটি দল এবং তার নিজের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হবে। বিশেষত যদি পর্তুগাল আর্মেনিয়ার বিপক্ষে জিততে ব্যর্থ হয় এবং একই গ্রুপে হাঙ্গেরি আয়ারল্যান্ডকে হারায়, তাহলে পর্তুগাল প্লে-অফে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে রোনালদো প্লে-অফ ম্যাচগুলো মিস করতে পারেন। তবে দল যদি বিশ্বকাপে পৌঁছায়, সেখানে তিনি আবার অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এই পরিস্থিতি রোনালদো এবং পর্তুগালের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। খেলোয়াড়ের শাস্তি, দলের পারফরম্যান্স এবং বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা—all মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন চরম উত্তেজনাপূর্ণ।



