নিউইয়র্কে ড্রাইভিং লাইসেন্স সাসপেন্ড হওয়ায় এক ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে। খলিল বিরিয়ানির কর্ণধার হিসেবে পরিচিত মো. খলিলুর রহমান স্থানীয় পুলিশি কর্মকর্তাদের হাতে গ্রেফতার হন, তবে দু’ঘন্টা পর তিনি মুক্তি পান।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, ৭ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার পর খলিলুর রহমান বাড়ি ফিরছিলেন। পথে এক সাইকেল আরোহি তার গাড়ীর সামনে এসে পড়েন এবং সামান্য আঘাত পান। এই অবস্থায় খলিলুর রহমান তৎক্ষণাৎ ৯১১ কল করেন এবং পুলিশ ও এম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
পুলিশ যখন তার ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই করেন, তখন দেখা যায় যে লাইসেন্সটি সাসপেন্ডেড অবস্থায় রয়েছে। খলিলুর রহমান স্বীকার করেছেন যে, তিনি লাইসেন্সটি সাসপেন্ডেড অবস্থায় থাকার বিষয়টি জানতেন না। এর পর পুলিশ তাকে গাড়িসহ নিকটস্থ ৪৯ প্রিসিংকটে নিয়ে যায়। প্রিসিংকট থেকে তাকে একটি টিকিট প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে জানানো হয় যে, আগামী ২৬ নভেম্বর তাকে কোর্টে হাজির হতে হবে।
মুক্তির পর খলিলুর রহমান জানান, টিকিটটি কোনো দুর্ঘটনার কারণে নয়, বরং তার ড্রাইভিং লাইসেন্স সাসপেন্ড থাকার কারণে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতি প্রত্যেক গাড়িচালকেরই সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই করা ও তার বৈধতা নিশ্চিত করা কোনো গাড়িচালকের জন্যই অপরিহার্য।
এ ঘটনায় সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। যেকোনো সময়ে গাড়ি চালানোর আগে লাইসেন্স ও ডকুমেন্টের বৈধতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। পুলিশি তৎপরতা এবং সঠিক আইন প্রয়োগ এই ধরনের ঘটনা দ্রুত সমাধানে সহায়ক হচ্ছে। এছাড়া, জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশি উপস্থিতি অপরিহার্য।
খলিলুর রহমানের এই ঘটনাটি দেখাচ্ছে যে, সাসপেন্ডেড লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও গাড়ি চালানো আইনগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি নিজেও উল্লেখ করেছেন যে, দুর্ঘটনার সাথে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। তবে, আইন প্রয়োগকারীরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা দ্রুত ঘটনার সমাধান এবং জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে বলা যায়, ড্রাইভিং লাইসেন্সের বৈধতা যাচাই করা প্রতিটি গাড়িচালকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত লাইসেন্স আপডেট রাখা এবং আইন মেনে চলা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ঝুঁকি ও সমস্যার সম্ভাবনা কমায়।
নিউইয়র্কে এই ধরনের ঘটনা স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে অনৈতিক বা অবৈধ গাড়ি চালনার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়াবে। এছাড়া, পুলিশি দায়িত্বশীলতা ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার উদাহরণ হিসেবে এটিকে ধরা যেতে পারে।



