আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম সাম্প্রতিক কিছু দিনের ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে আবার নতুন পর্যায়ে এসেছে। আজ সকালে স্পট গোল্ডের দাম ছিল প্রতি আউন্সে ৪,১৩৪.৩৭ ডলার, যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে, শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। তবে দিনের মধ্যেই দাম পুনরায় কমে ৪,০৬৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এক ধরনের সর্বনিম্ন মান।
বিশ্ববাজারে সোনার এই ওঠা-নামার পেছনে মূলত দুটি কারণ কাজ করছে। এক, ডলারের মান সামান্য কমেছে। দুই, মঙ্গলবারের বড় দরপতনের পর বিনিয়োগকারীরা কম দামে সোনা কিনতে আগ্রহী হয়েছেন। মঙ্গলবার সোনার দাম একদিনে ৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় এক দৈনিক পতন হিসেবে রেকর্ডে এসেছে।
এদিকে ভবিষ্যতের বাজারের জন্য কেনা স্বর্ণের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সেই দামের মান প্রতি আউন্সে ৪,১৪৭.১০ ডলারে পৌঁছেছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই ধরণের কেনাবেচা বাজারে স্বাভাবিক নিয়মে ফিরে আসার একটি ইঙ্গিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক আগামী শুক্রবার মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করবে। এই তথ্য ভবিষ্যতে সুদের হার নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং তা সোনার দামের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
একজন অভিজ্ঞ বিশ্লেষক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা কমে আসায় সোনার বাজারে স্থিতিশীলতার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। চলতি বছরের শুরু থেকে সোনার দাম প্রায় ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সোমবার এটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল, প্রতি আউন্সে ৪,৩৮১.২১ ডলারে। দাম বৃদ্ধি পেছনের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করছেন বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারাবাহিক সোনা কেনা এবং সুদের হার কমার প্রত্যাশা।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার মূল্য ওঠানামার মধ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। বর্তমানে সোনার বাজারের এই গতিশীলতা এবং প্রতিদিনের দামের ওঠানামা বিনিয়োগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হিসেবে কাজ করছে।



