Thursday, November 20, 2025
spot_img
Homeএডুকেশন‘নতুন দিগন্ত’: ভার্চুয়াল শিক্ষার মাধ্যমে মিসিসিপির শিক্ষক ঘাটতি মোকাবিলা

‘নতুন দিগন্ত’: ভার্চুয়াল শিক্ষার মাধ্যমে মিসিসিপির শিক্ষক ঘাটতি মোকাবিলা

মিসিসিপিতে শিক্ষকের অভাব নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে এবার শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন সমাধান এসেছে, যা ক্লাসরুমের বাইরে থেকেও শিক্ষাদানের সুযোগ তৈরি করছে। মিসিসিপি শিক্ষাবিভাগ এবং পাবলিক ব্রডকাস্টিং-এর মধ্যে একটি নতুন অংশীদারিত্বের মাধ্যমে চালু করা হয়েছে REACH MS প্রোগ্রাম, যা ভার্চুয়াল সিনক্রোনাস লার্নিং ইনিশিয়েটিভ নামেও পরিচিত। এই উদ্যোগের জন্য রাজ্য আইনসভা ২.২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। প্রোগ্রামটির মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষক ঘাটতির সমস্যা মোকাবিলা করা।

বর্তমানে মিসিসিপি জুড়ে হাজার হাজার শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে। যদিও ভার্চুয়াল শিক্ষকের এই উদ্যোগ সরাসরি নিয়োগ কার্যক্রমের বিকল্প নয়, তবু এটি শিক্ষাবিভাগের সেই প্রচেষ্টার অংশ, যা শিক্ষক ঘাটতি কমানোর জন্য নেওয়া হয়েছে। এ প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে শিক্ষকের নিয়োগের জন্য নতুন ওয়েবসাইট, কলেজ শিক্ষার্থীদের টিউশন ও লাইসেন্সিং খরচ প্রদানের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি, যারা “সমালোচনামূলক ঘাটতির এলাকায়” শিক্ষাদান করতে রাজি হবে। রাজ্যের ৫৬% স্কুল জেলা এই ক্রিটিক্যাল ঘাটতির অঞ্চলে পড়ে।

প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া জেলা ও স্কুলগুলো মূল বিষয়গুলোর জন্য ভার্চুয়াল শিক্ষক পেতে পারে। তাদের কেবল বিশেষ শিক্ষার ছাত্রদের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, গ্রেড ও হাজিরা রেকর্ড করতে হবে, ক্লাসরুম এবং স্থায়ী সহকারী শিক্ষকদের ব্যবস্থা করতে হবে, এবং নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি জেলা—হিন্ডস কাউন্টি, ইয়াজু কাউন্টি, ইয়াজু সিটি, ক্লাইবর্ন এবং ওয়েস্ট পয়েন্ট—এই প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছে। তিনজন যোগ্য শিক্ষক এবং তিনজন শিক্ষক সহকারী যারা কলেজ শেষ পর্যায়ে আছে, তারা ছাত্রদের ভার্চুয়াল ক্লাসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো দুই দিক থেকে শিক্ষকের ঘাটতি মোকাবিলা করা: কঠিন বিষয়গুলোতে শিক্ষকদের সরবরাহ এবং শিক্ষকPipeline শক্তিশালী করা। ভার্চুয়াল শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থেকে পাঠদান করেন, এবং ক্লাসরুমে উপস্থিত সহকারী শিক্ষকরা পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণ অনলাইন শিক্ষার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর ও মনোগ্রাহী পরিবেশ তৈরি করে।

ভার্চুয়াল শিক্ষার কক্ষগুলি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে। eGlass সিস্টেমের মাধ্যমে শিক্ষকের বার্তাগুলো স্বচ্ছ লাইটবোর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়, যা ছাত্রদের সঙ্গে ইন্টারেক্টিভ যোগাযোগ নিশ্চিত করে। এই প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোর খরচ প্রায় ৩,০০০ ডলার। প্রতিটি ভার্চুয়াল শিক্ষক একসাথে ৪৫০ শিক্ষার্থী পর্যন্ত শিক্ষাদান করতে সক্ষম।

বর্তমান প্রাথমিক পর্যায়ে ইংরেজি I, ইংরেজি III, অ্যালজেব্রা I এবং অ্যালজেব্রা II ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে। পাঁচটি জেলায় প্রায় ১৫০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে, তবে পুরোপুরি প্রসারিত হলে প্রোগ্রামটি ৫,৪০০ শিক্ষার্থী, ছয় শিক্ষক এবং ছয় সহকারী পর্যন্ত শিক্ষাদান করতে পারবে। বসন্তে আরও গণিত ও বিজ্ঞান ক্লাস যুক্ত হবে, এবং ১২টি eGlass সিস্টেম যোগ করা হবে।

প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা জানান, ভার্চুয়াল শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষাদান তাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা, যা অনলাইন শিক্ষা এবং ব্যক্তিগত ক্লাসের সুবিধা একত্রে প্রদান করে। শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা শুধু লিখছি না, আমরা বিষয়বস্তু বোঝার জন্য সময় পাচ্ছি।” প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা থাকলেও, শিক্ষার্থীরা বলেন, এটি তাদের শিক্ষার মান বাড়াচ্ছে।

রাজ্যশিক্ষক প্রশাসন এই উদ্যোগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। শিক্ষকরা জানান, এটি শিক্ষার্থীদের কাছে যোগ্য শিক্ষকের উপস্থিতি নিশ্চিত করছে, এবং শিক্ষার্থীরা ক্রমবর্ধমান ভার্চুয়াল শিক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments