বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আজ আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তান জয় অর্জন করায় এখন বাংলাদেশের একমাত্র লক্ষ্য সিরিজ বাঁচানো। গত দুই বছরে দুই দলের মধ্যে ওয়ানডে সিরিজে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান, তাই এবারের ম্যাচে বাংলাদেশের চাপ অনেক বেশি।
প্রথম ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামা তানজিদ হাসান ও সাইফ হাসান বড় রান করতে পারেননি। তানজিদ করেন মাত্র ১০ রান, আর অভিষিক্ত সাইফ হাসান ফিরেন ২৬ রান করে। দ্বিতীয় ম্যাচেও তারা ওপেনিংয়ে খেলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দলের সাথে নতুন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম যোগ দিলেও আজ তাঁর ওপেনিংয়ে খেলতে দেখা যাবে না।
তৃতীয় নম্বরে থাকবেন নাজমুল হোসেন। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান প্রথম ম্যাচে ২ রানে আউট হলেও আজ বড় স্কোর করার প্রত্যাশা রয়েছে। মিডল অর্ডারেও কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে। তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী মিডল অর্ডারে থাকবেন। এছাড়াও গত ম্যাচে ৭ রানে আউট হওয়া নুরুল হাসানও আজ সুযোগ পেতে পারেন।
আবুধাবির ধীরগতির উইকেটে স্পিনারদের প্রভাব বাড়তে পারে। সেই কারণে দলে ফিরতে পারেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তাঁর সঙ্গে তানভীর ইসলামের জুটি চাপে ফেলতে পারে প্রতিপক্ষকে। পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন বাঁহাতি ফাস্ট বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ম্যাচে তাঁকে বিশ্রামে রাখা হয়েছিল। দ্বিতীয় পেসার হিসেবে থাকতে পারেন তানজিম হাসান।
যদি বাংলাদেশ দুই পেসার ও দুই স্পিনারের সমন্বয় করে খেলতে চায়, তবে তাসকিন আহমেদ বা হাসান মাহমুদদের মধ্যে একজনকে রাখতে হবে। এছাড়া ফাস্ট বোলার নাহিদ রানাও খেলতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশ দলের পেসাররা সবাই কমবেশি ছন্দে আছে। মোস্তাফিজ ছাড়া সামর্থ্যের বিচারে দলে বিশেষ পার্থক্য নেই।
বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে ব্যবহার করছে। আজও সেই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। অভিজ্ঞ ও তরুণদের সমন্বয়ে দল চেষ্টা করবে সিরিজে নিজের অবস্থান টিকিয়ে রাখার। ম্যাচে ওপেনিং থেকে মিডল অর্ডার এবং বোলিং আক্রমণ—সবকিছুই কৌশলগত গুরুত্ব বহন করছে।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে আফগানিস্তানের ধারাবাহিক আক্রমণ সামলানো এবং নিজেদের ব্যাটিং লাইন শক্তিশালী রাখা। দলের উদ্দেশ্য স্পষ্ট—সিরিজ বাঁচানো এবং মাঠে নিজেদের ভালো প্রদর্শন নিশ্চিত করা।



