যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রখ্যাত বিজ্ঞানীকে এই বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। তাঁদের বৈজ্ঞানিক গবেষণা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে তিনজন বিজ্ঞানীর “একটি বৈদ্যুতিক পরিসরে বৃহৎ পরিমাণের কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং শক্তির পরিমাণের কোয়ান্টাইজেশন আবিষ্কারের” জন্য। এই অগ্রগণ্য গবেষণার ফলে বৈদ্যুতিক পরিসরে কোয়ান্টাম প্রভাবগুলোকে বাস্তব এবং পরিমাপযোগ্য রূপে দেখা সম্ভব হয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন একজন প্রফেসর যিনি দীর্ঘদিন ধরে সুপারকন্ডাক্টর এবং কোয়ান্টাম সার্কিট নিয়ে গবেষণা করছেন, একজন বৈজ্ঞানিক যিনি কোয়ান্টাম সিস্টেমের মাইক্রোস্কোপিক এবং ম্যাক্রোস্কোপিক আচরণের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছেন, এবং একজন গবেষক যিনি কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাদের গবেষণা শুধুমাত্র তাত্ত্বিক কোয়ান্টাম ফিজিক্সে নয়, বরং আধুনিক প্রযুক্তি ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রেও বিপ্লবী প্রভাব ফেলেছে।
একাডেমি আরও উল্লেখ করেছে, “তাদের আবিষ্কারগুলো বৈদ্যুতিক সার্কিটে শক্তির কোয়ান্টাইজেশন এবং ম্যাক্রোস্কোপিক টানেলিং প্রক্রিয়াকে আমাদের দৃষ্টিতে এনেছে, যা আগে শুধুমাত্র তাত্ত্বিকভাবে অনুমান করা যেত।” এই অর্জন কোয়ান্টাম প্রযুক্তি এবং সুপারকন্ডাক্টিং ডিভাইসের উন্নয়নে নতুন পথ উন্মুক্ত করেছে।
বিজ্ঞানীরা এই ক্ষেত্রের জটিল ধারণাগুলোকে বাস্তব পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন। তাদের কাজের ফলে, কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে বড় আকারের যন্ত্রাংশে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়েছে, যা আগে কেবল তাত্ত্বিক বা ক্ষুদ্র কণিকায় সীমাবদ্ধ ছিল। এই আবিষ্কারগুলোর মাধ্যমে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, কোয়ান্টাম সেন্সর এবং অন্যান্য নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
এই নোবেল পুরস্কার প্রদান একদিকে এই বিজ্ঞানীদের বছরের পর বছর গবেষণার স্বীকৃতি, অন্যদিকে ভবিষ্যতের কোয়ান্টাম প্রযুক্তির উন্নয়নে উদ্বুদ্ধকরণ। একাডেমি তাদের অবদানের জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছে।



