Sunday, October 5, 2025
spot_img
Homeআপনার স্বাস্থ্যশিশুর চোখে সমস্যা সহজে বোঝা যায় না, কিন্তু সময়মতো সচেতনতা জরুরি

শিশুর চোখে সমস্যা সহজে বোঝা যায় না, কিন্তু সময়মতো সচেতনতা জরুরি

শিশুরা চোখের সমস্যার কথা নিজে বোঝে না, আর বাইরে থেকে দেখা যায় না, তাই অনেক সময় চিকিৎসা নিতেও দেরি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক অন্ধত্ব প্রতিরোধ সংস্থা জানিয়েছে, প্রায় ৪৫ কোটি শিশু বিভিন্ন চোখের সমস্যায় ভুগছে, যাদের অনেকেই প্রতিরোধযোগ্য বা নিরাময়যোগ্য। শিশুর চোখের বড় ক্ষতি এড়াতে প্রাথমিক পর্যায়ে চোখ পরীক্ষা করা এবং সমস্যা শনাক্ত করে চিকিৎসা করা অত্যন্ত জরুরি।

শিশুদের মধ্যে সাধারণ কিছু চোখের রোগ এবং লক্ষণগুলো হলো—

  • রিফ্রেকটিভ এরর: আলো ঠিকমতো ফোকাস হয় না, ফলে ঝাপসা দেখা। লক্ষণ: চোখ ছোট করে তাকানো, বই বা স্ক্রিন খুব কাছে রাখা, দীর্ঘক্ষণ পড়াশোনা বা স্ক্রিন দেখার পর মাথাব্যথা।

  • অ্যামব্লিওপিয়া (লেজি আই): একটি চোখ দুর্বল হয়ে যায়। লক্ষণ: এক চোখ ব্যবহার করা বেশি, চোখ রগড়ানো, পড়াশোনায় মনোযোগ কম।

  • বাইনোকুলার ভিশন ডিসফাংশন (BVD): দুই চোখ ঠিকমতো কাজ করে না। লক্ষণ: মাথা ঘোরা, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা, চলাচলে অসুবিধা।

  • কনভারজেন্স ইনসাফিসিয়েন্সি: চোখের পেশির সমন্বয় নষ্ট হয়। লক্ষণ: লেখা বা খেলাধুলায় ঝাপসা দেখা, ক্লান্তি, মাথা কাত করা।

  • নিসট্যাগমাস: চোখ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে নড়ে। লক্ষণ: চোখ দ্রুত বা অনবরত নড়তে থাকা।

  • প্যাডিয়াট্রিক ক্যাটার্যাক্টস: চোখে ছানি পড়ে। লক্ষণ: চোখের মণির রং ধূসর বা সাদা, চোখ অনবরত নড়তে থাকা।

  • স্ট্রেবিসমাস (ট্যারা চোখ): দুটি চোখ একই বিন্দুতে ফোকাস করতে পারে না। লক্ষণ: চোখ অন্য দিকে তাকানো, চোখ ছোট করে তাকানো, মাথা কাত করা।

শিশুর চোখের স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত পরীক্ষা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা অপরিহার্য। সময়মতো সতর্ক হলে ছোট সমস্যা বড় ক্ষতিতে পরিণত হয় না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments