Thursday, November 20, 2025
spot_img
Homeএডুকেশনশিক্ষক প্রশিক্ষণে বিলিয়ন ডলার ব্যয়, প্রযুক্তি শিক্ষায় বরাদ্দ অর্ধেকেরও কম

শিক্ষক প্রশিক্ষণে বিলিয়ন ডলার ব্যয়, প্রযুক্তি শিক্ষায় বরাদ্দ অর্ধেকেরও কম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর শিক্ষা প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কে-১২ (K–12) পর্যায়ের স্কুলগুলো এখন শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপ বা ট্যাব সরবরাহের নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষক এখনো প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাদান পদ্ধতি সঠিকভাবে প্রয়োগে পিছিয়ে আছেন।

এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ফেডারেল সরকারের বরাদ্দ বিলিয়ন ডলার হলেও, তার কমপক্ষে অর্ধেকেরও কম অর্থ ব্যয় হচ্ছে প্রযুক্তি-সম্পর্কিত প্রশিক্ষণে।

রাষ্ট্রীয় শিক্ষা প্রযুক্তি পরিচালকদের সংগঠনের (SETDA) এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে মাত্র নয়টি রাজ্য তাদের শিক্ষা বাজেটে প্রযুক্তি প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ ২.২ বিলিয়ন ডলারের “টাইটেল II-A: সাপোর্টিং ইফেকটিভ ইন্সট্রাকশন” অনুদানের বড় অংশই এখনো প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষণ পদ্ধতির উন্নয়নে ব্যবহার করা হচ্ছে না।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, দেশের ৪০ শতাংশেরও কম শিক্ষা জেলা তাদের ফেডারেল তহবিল ব্যবহার করছে প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ বা ডিজিটাল শিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে। ফলে শিক্ষকদের একটি বড় অংশ এখনও প্রযুক্তিকে কার্যকরভাবে শ্রেণিকক্ষে প্রয়োগ করার দক্ষতা অর্জন করতে পারছেন না।

সমস্যার আরেকটি দিক হলো — বেশিরভাগ রাজ্য ও জেলা পর্যায়ে এখনো স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি “শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষণ” বলতে ঠিক কী বোঝায়। একইসঙ্গে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাঠদানের ফলাফল মূল্যায়নের জন্যও সুনির্দিষ্ট কোনো কাঠামো নেই।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ফেডারেল অর্থের বড় অংশ ব্যয় হয় স্বল্পমেয়াদি কর্মশালা বা একক প্রশিক্ষণ সেশনে, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট সফটওয়্যার বা টুলের ব্যবহার শেখানো হয়। অথচ বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষকদের সক্ষমতা বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি ও ধারাবাহিক সহায়তা প্রয়োজন — যা প্রযুক্তিকে বাস্তব শ্রেণিকক্ষ শিক্ষায় রূপান্তর করতে সাহায্য করবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টাইটেল II তহবিল কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে না পারার অন্যতম কারণ হলো প্রশাসনিক জটিলতা ও নিয়মভঙ্গের আশঙ্কা। অনেক রাজ্য ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ফেডারেল নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে গিয়ে নতুন কোনো উদ্যোগ নিতে সাহস পান না।

SETDA–র একজন প্রকল্প পরিচালক বলেন, “টাইটেল II-A বহু বছর ধরে চালু থাকা একটি প্রোগ্রাম হওয়ায় অনেক কিছুই এখন কেবল নিয়ম রক্ষার জন্য করা হচ্ছে। এতে করে আমরা নতুনভাবে ভাবতে পারছি না — বিশেষ করে এখনকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুগে কীভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানো যায়।”

এই বাস্তবতায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষক প্রশিক্ষণের অর্থ যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, তাহলে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা বাস্তবায়নে যে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, তা অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে। প্রযুক্তি এখন শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হলেও, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ছাড়া সেই সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানো সম্ভব নয়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments