রংপুরে এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে ‘মব সৃষ্টি’ করে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের কাচারিবাজার এলাকা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় এবং ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা সিটি করপোরেশনে সমবেত হন। তাঁরা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। সাংবাদিকেরা এ ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানান।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক অভিযোগ করেন, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জেরে স্থানীয়ভাবে পরিচিত একজনের নেতৃত্বে ১৫–২০ জন মিলে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। ওই সময় তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করা হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার, সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা কোনো অসম্মান করেননি, বরং ‘আপসের মাধ্যমে’ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছেন। তবে ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, তাঁকে টেনেহিঁচড়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষের কাছে নেওয়া হয় এবং সংবাদ প্রত্যাহার করতে চাপ দেওয়া হয়।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সাংবাদিকদের নিয়ে গিয়ে মাফ চাইতে বাধ্য করার প্রশ্নই ওঠে না। অন্যদিকে প্রশাসক জানিয়েছেন, তিনি ঢাকায় মিটিংয়ে থাকায় বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করতে পারবেন না।
এদিকে রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে শনাক্ত করা গেছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অন্যদেরও শনাক্তের কাজ চলছে এবং দ্রুত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।