যুক্তরাষ্ট্রের একজন ফেডারেল বিচারক গুয়াতেমালার ৭৬ জন শিশুকে বহিষ্কারের পরিকল্পনা স্থগিত করেছেন। বিচারক বলেছেন, প্রশাসনের দাবি যে শিশুরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে পুনর্মিলন করছে, তা সঠিক নয়, কারণ কোনো প্রমাণ নেই যে শিশুদের অভিভাবকরা তাদের দেশে ফেরানোর অনুরোধ করেছেন।
ডিসট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ার টিমোথি কেলি এই রায়ে উল্লেখ করেছেন যে, গভর্নমেন্টের “পুনর্মিলনের” দাবি পুরোপুরি ভ্রান্ত। বিচারকের মতে, শিশুদের রাতের মধ্যরাতে বহিষ্কারের চেষ্টা এবং “পুনর্মিলন” পরিকল্পনা বাস্তবে অনেক শিশুর জন্য আতঙ্ক এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে।
রায়ে বলা হয়েছে, শিশুরা যারা অনাথ বা অভিভাবকবিহীন অবস্থায় এসেছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে আছে, তাদের প্রত্যাবাসন বা স্থানান্তর করা যাবে না। বিচারক প্রায় ৩২৭ শিশুকে দেশে ফেরানোর পরিকল্পনার “প্রথম পর্যায়ে” থাকা ৭৬ জন শিশুকে বহিষ্কার থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, তারা শিশুদের “দুর্বৃত্তি প্রতিরোধ আইন” লঙ্ঘন করছে না, কারণ তারা শিশুদের বহিষ্কার করছে না, বরং পুনর্মিলন করছে। তবে গুয়াতেমালার অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ৬০৯ জন কিশোরের মধ্যে মাত্র ৫০–৫৭ জনের অভিভাবক তাদের সন্তানকে ফেরানোর জন্য রাজি ছিলেন এবং এর মধ্যে কেউ সরাসরি অনুরোধ করেননি।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের তাড়াহুড়ো করে রাতের মধ্যে শিশুদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা “দুর্বৃত্তি প্রতিরোধ আইন” (TVPRA) দ্বারা প্রতিরোধ করা হয়েছে। বিচারক উল্লেখ করেছেন যে, অনাথ শিশুদের অনৈতিকভাবে দেশে ফেরানোর বা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে রাখার ফলে তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
বিচারকের এই রায়ের পরও প্রশাসন এটি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে। বিচারক প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সময়ে সীমান্তে শিশুদের অভিভাবক থেকে আলাদা করার নীতি সম্পর্কেও উল্লেখ করেছেন, যা তখন সমালোচনার মুখে পড়েছিল।