মার্কিন শ্রমবাজার নিয়ে নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। ফেডারেল সরকারের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, মার্চ ২০২৪ থেকে মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত এক বছরের মধ্যে অনুমিত সংখ্যার তুলনায় প্রায় ৯ লাখ ১১ হাজার কম চাকরি সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে বোঝা যাচ্ছে, মার্কিন শ্রমবাজার এতটা শক্তিশালী ছিল না বরং আগেই দুর্বল হতে শুরু করেছিল।
শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর (BLS) প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, আগের হিসাব অনুযায়ী যেটা ছিল প্রায় ১৭ লাখ, বাস্তবে নতুন চাকরি হয়েছে মাত্র ৮ লাখ ৫০ হাজারের মতো। এতে করে চাকরির প্রবৃদ্ধির অর্ধেকের বেশি কমে গেছে।
চাকরি হারিয়েছে বিভিন্ন খাতেই— আতিথেয়তা খাতে কমেছে ১ লাখ ৭৬ হাজার, খুচরা বাণিজ্যে ১ লাখ ২৬ হাজার ২০০, আর পেশাদার ও ব্যবসা সেবায় কমেছে প্রায় ১ লাখ ৫৮ হাজার চাকরি। উৎপাদন খাতেও ৯৫ হাজার চাকরি হারিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যখাত বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ছাড়া অন্য খাতে চাকরি পাওয়া গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কঠিন হয়ে পড়েছে।
এই পর্যালোচনা অনুযায়ী, মার্চ ২০০৯ সালের পর এটিই সবচেয়ে বড় সংশোধন হতে যাচ্ছে। তবে এটি এখনও প্রাথমিক ফলাফল, চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশিত হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও এই প্রতিবেদন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, নতুন পরিসংখ্যান প্রমাণ করছে পূর্ববর্তী প্রশাসনের অর্থনীতি ভঙ্গুর ছিল এবং শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর কার্যক্রমও সঠিকভাবে হয়নি। এর আগে ২০২৪ সালের প্রাথমিক পর্যালোচনাতেও চাকরির সংখ্যায় বড় ধরনের সংশোধন এসেছিল।
অর্থনৈতিক এই দুর্বলতার কারণে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত আরও জোরালো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সরাসরি ভোক্তা ও বাজারে প্রভাব ফেলবে।