Sunday, October 5, 2025
spot_img
Homeভ্রমণ টুকিটাকিমাদারীপুরে কাশফুলের রঙে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

মাদারীপুরে কাশফুলের রঙে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

শরৎকাল বাংলাদেশের অন্যতম প্রিয় ঋতু, আর এই সময়ের অন্যতম আকর্ষণ কাশফুল। নরম ছোঁয়া, সাদা শুভ্রতা আর আকাশে ভেসে যাওয়া মেঘের সঙ্গে এর মিলন যে কোনো দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। মাদারীপুরেও এই কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে মানুষজন প্রতিদিনই ভিড় করছেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়ার হাজরাপুরে অবস্থিত ‘মাদারীপুর হাউজিং এস্টেট’ এবং মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের মহিষেরচর এলাকার বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় বিশাল কাশবন রয়েছে। এই দুটি স্থানে কাশফুল ইতিমধ্যেই ফুটতে শুরু করেছে। সৌন্দর্যপিপাসু মানুষজন এখানে প্রতিদিন আসছেন, বিশেষ করে শুক্রবার ও শনিবার। সাধারণ দর্শনার্থীদের পাশাপাশি টিকটক ভিডিও নির্মাতারাও কাশফুলের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে কন্টেন্ট তৈরিতে ব্যস্ত।

মাদারীপুর সদর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদীর তীরেও কাশবন দেখা যায়। শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি, বন্দরখোলা ও সন্ন্যাসীর চর ইউনিয়নের পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরজুড়েও কাশবন রয়েছে। বিকেলের সময় এই স্থানগুলোতে পরিবারসহ পর্যটকেরা ছুটে আসেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সকলেই কাশফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন। দর্শনার্থীরা ছবি তোলেন, কাশফুল ছিঁড়ে মুঠো ভরে নিয়ে যান, কেউ প্রিয়জনকে উপহার দেন—প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য যেন মিলনমেলা।

একজন দর্শনার্থী জানান, “শহর থেকে এখানে এসেছি। প্রথমবার এসে দেখলাম কাশফুলের সৌন্দর্য একেবারেই মনোমুগ্ধকর। পুরো কাশবন এখনো ফুলে ফোঁটেনি, পুরো ফুটলে আরও দারুণ লাগবে।” আরেকজন দর্শনার্থী জানান, “আমি প্রতি শুক্রবার এখানে আসি। ছবি তুলি, পরিবেশের সঙ্গে সময় কাটাই। খুব আনন্দ লাগে।” নববিবাহিত এক দম্পতি বলেছেন, “নতুন জীবনসঙ্গীকে নিয়ে এত সুন্দর দৃশ্য দেখা সত্যিই স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। সাদা কাশফুল ও নীল আকাশের সঙ্গে ছবি তুলে স্মৃতি সংরক্ষণ করেছি।”

মাদারীপুর সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “সদর উপজেলার চরমুগরিয়ার হাউজিং এস্টেট ও মহিষেরচরের বিসিক শিল্প নগরীর কাশবন বিশাল। শরৎকাল এলেই মানুষ এখানে ভিড় করেন। কাশবন কেবল সৌন্দর্যই নয়, পরিবেশের জন্যও উপকারী। নদীর তীরে কাশবন নদীভাঙন রোধে সহায়ক। এছাড়া শুকিয়ে গেলে কাশফুল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।”

মাদারীপুরে কাশফুলের এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য শরৎকালকে আরও আনন্দময় করে তুলেছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments