দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বিপক্ষে আগামী প্রীতি ম্যাচের জন্য ব্রাজিলের জাতীয় দল ঘোষণা করেছেন কোচ। এই স্কোয়াডে বিশেষভাবে নজর কেড়েছে দুই তারকা ফরোয়ার্ডের পুনরায় অন্তর্ভুক্তি—ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং রদ্রিগো।
গত মাসে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের খেলা নিশ্চিত হওয়ায় কোচ এই দুই খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছেন। রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুসকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে। অপরদিকে, রদ্রিগো নিয়মিত ক্লাব ম্যাচ না খেলায় তখন স্কোয়াডের বাইরে ছিলেন। তবে এবার প্রীতি ম্যাচে এই দুই তারকা ফিরেছেন জাতীয় দলে।
নেইমারের ক্ষেত্রে অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। বাঁ পায়ের চোটের কারণে ব্রাজিল কোচ তাঁকে জাতীয় দলে ফিরিয়েছেন না। নেইমার ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বশেষ খেলেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। তার পর থেকে ধারাবাহিক চোট ও ফিটনেস সমস্যা তাঁকে দল থেকে দূরে রেখেছে। আগামী নভেম্বরে এই তারকা ফরোয়ার্ডের জাতীয় দলে ফিরবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
ব্রাজিলের কোচ বলেন, ‘রদ্রিগো আবার স্কোয়াডে আনা হয়েছে। যদিও সে সবসময় মাঠে নামেনি, কিন্তু নেমে সে যেভাবে খেলেছে, তা প্রশংসনীয়। তার ফিটনেসও এখন ভালো এবং দলকে আক্রমণে সব পজিশনে সহায়তা করতে সক্ষম। এটি আমাদের দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
চোটের কারণে এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি অন্য কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের। বার্সেলোনার মিডফিল্ডার রাফিনিয়া, পিএসজি সেন্টার ব্যাক মারকিনিওস এবং লিভারপুল গোলকিপার আলিসন বেকার চোটের কারণে বাদ পড়েছেন। তবে দীর্ঘ সময়ের চোট কাটিয়ে ডিফেন্ডার মিলিতাও জাতীয় দলে ফেরার ডাক পেয়েছেন।
স্ট্রাইকার পজিশনে নতুন সংযোজন ইগর জেসুস। তিনি বোতাফোগো থেকে নটিংহাম ফরেস্টে যোগ দিয়েছেন চলতি জুলাই মাসে। ইংলিশ ক্লাবের হয়ে মাত্র দুই ম্যাচে একাদশে নেমে চার গোল করেছেন এই স্ট্রাইকার। তার এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচের নজরে এসেছে।
ব্রাজিল আগামী ১০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে। চার দিন পর টোকিওতে জাপানের মুখোমুখি হবে দলটি। ভিনিসিয়ুস এবং রদ্রিগোর উপস্থিতি আক্রমণভাগে শক্তি যোগ করবে। তবে নেইমারের অনিশ্চিত অবস্থার কারণে দলের পরিকল্পনায় সামান্য পরিবর্তন আনতে হতে পারে।
এই স্কোয়াড ঘোষণার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেছে, কোচ দলের যুব খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করছেন এবং চোটপূর্ণ খেলোয়াড়দের ব্যবস্থাপনায় সতর্কতা অবলম্বন করছেন। প্রীতি ম্যাচের এই দুইটিম মুখোমুখি হওয়ার আগে ব্রাজিলের লক্ষ্য হবে খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও আক্রমণভাগে সমন্বয় তৈরি করা।