ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার সম্ভাবনা যত বাড়ছে, ভারত ততই যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের কূটনৈতিক প্রভাব বাড়াতে তৎপর হচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, ট্রাম্পের আরোপ করা ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার ঠিক আগে ভারত ওয়াশিংটনে দ্বিতীয়বারের মতো একটি লবিস্ট ফার্ম ভাড়া করেছে। এই ফার্মটির নাম ‘মার্কারি পাবলিক অ্যাফেয়ার্স’, যা সাবেক সিনেটর ডেভিড ভিটারের মালিকানাধীন। এর মাধ্যমে ভারত ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
মার্কিন বিচার বিভাগে জমা দেওয়া নথি অনুযায়ী, ভারত এই প্রতিষ্ঠানকে তিন মাসের জন্য মোট ২.২৫ লাখ ডলার দেবে। যদিও এই অঙ্কটি আগের চুক্তির তুলনায় বেশ কম, যখন ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা জেসন মিলারের ফার্মকে ১৮ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছিল। মার্কারির অন্যতম অংশীদার ব্রায়ান লাঞ্জা ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের যোগাযোগ পরিচালক ছিলেন, যা এই ফার্মের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।
বর্তমানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক কিছুটা উত্তপ্ত। রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখায় ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল এবং এখন আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। হোয়াইট হাউজের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো জানিয়েছেন, এই নতুন শুল্ক নির্ধারিত সময়েই কার্যকর হবে।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে মার্কারির সুসম্পর্ক রয়েছে। এই ফার্মের পার্টনার সুসি ওয়াইলস ২০২৪ সালের নভেম্বরে পর্যন্ত একজন নিবন্ধিত লবিস্ট ছিলেন এবং তিনি এখন হোয়াইট হাউজের চিফ অফ স্টাফ। বর্তমানে মার্কারি দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, লিবিয়া এবং ইকুয়েডরের জন্যও লবিং করছে। ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনের পর অন্তত ৩০টি দেশ তার ঘনিষ্ঠজনদের থেকে লবিস্ট ভাড়া করেছে, যা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ট্রাম্পের প্রভাব কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট করে তোলে।