মিশরের সুপারমানখ্যাত ক্রীড়াবিদ সম্প্রতি একটি চমকপ্রদ কীর্তি গড়ে বিশ্বের নজর কেড়েছেন। Hurghada এর রেড সি উপকূলে তিনি দাঁতের সাহায্যে একটি ৭০০ টন ওজনের জাহাজ টেনে নিলেন। এই সাহসী চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে তিনি নতুন বিশ্বরেকর্ডের লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করছেন।
৪৪ বছর বয়সী এই শক্তিমান ক্রীড়াবিদ ছোটবেলা থেকেই অস্বাভাবিক শক্তি দেখিয়েছেন। ক্রীড়া এবং ব্যায়ামের প্রতি তার আগ্রহ তাকে নানা রেকর্ড করার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আগে তিনি ট্রেন, লোকোমোটিভ এবং ট্রাকও টানেছেন। প্রতিটি কীর্তির সঙ্গে তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষ এবং শিশুরা তাকে “স্ট্রং ম্যান” নামে ডাকেন।
এই বিশেষ কৃতিত্বের প্রস্তুতিতে তিনি প্রতিদিন প্রোটিন ও লৌহ সমৃদ্ধ খাবার খেয়েছেন—দু’টি পুরো মুরগি, একটি ডজন ডিম এবং প্রায় ১১ পাউন্ড মাছ—সাথে দিনে তিনবার দু’ঘণ্টা করে প্রশিক্ষণ।
তার মতে, টানার আগে তিনি সেই জাহাজের সাথে কথোপকথন করেন, যা তাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং সফল হতে সাহায্য করে। এই অভ্যাসটি তাকে অন্য যে কোনো রেকর্ডধারীর তুলনায় বিশেষ করে।
ছোটবেলা থেকেই তার শক্তি প্রকাশ পেত। বন্ধুদের বহন করা, ভারী সামগ্রী একসাথে নৌচানো—সবই তার দৈনন্দিন কাজ ছিল। ৯ বছর বয়সে তার পিতার চাকরি চলে গেলে, তিনি বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতেন। তার খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ তাকে কুং ফু, কিকবক্সিং এবং কুস্তি প্রশিক্ষণে দক্ষ করেছে।
গত মার্চে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ তাকে সর্বোচ্চ ওজনের রেলপুলের জন্য স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া, তিনি সর্বোচ্চ ওজনের লোকোমোটিভ টানার এবং দ্রুততম ১০০ মিটার রোড ভেহিকেল টানার জন্যও স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তার দৈনিক রুটিনে মুখের যত্নের জন্য মিসওয়াক ব্যবহার, নিয়মিত ঘুম এবং ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত। তিনি কোনো সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন না।
আগামী পরিকল্পনা আরও চমকপ্রদ। তিনি ২,৬৩,০০০ টন ওজনের সাবমেরিন টানার অনুমতির জন্য মিশরীয় প্রেসিডেন্সির কাছে আবেদন করবেন। এছাড়া একদিন কেবল চোখের পলকের শক্তিতে একটি বিমান টানার স্বপ্ন দেখছেন।
এই রেকর্ডের মাধ্যমে স্পষ্ট হলো, ধৈর্য্য, কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাসের মেলবন্ধন মানুষের অদ্ভুত শক্তি এবং সম্ভাবনা প্রকাশ করতে পারে।