বিশ্বজুড়ে যোগাযোগ, কাজের দক্ষতা এবং বিনোদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন হয়ে উঠেছে অপরিহার্য। মোবাইল ফোনের বৈশ্বিক বাজার এখন বছরে ছাড়িয়েছে ৫২ হাজার কোটি ডলার। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বে সরবরাহ হয়েছে ২৯ কোটি ৫২ লাখ ফোন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর মোট ১১৮ কোটি ফোন বাজারে আসবে।
বর্তমানে আড়াই শতাধিক ব্র্যান্ড প্রতিযোগিতা করছে এই বিশাল বাজারে। সবচেয়ে বড় বাজার এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, যেখানে মোট সরবরাহের ৪৯ শতাংশ বিক্রি হয়। এরপর ইউরোপ (১৮ শতাংশ) ও উত্তর আমেরিকা (১৪ শতাংশ)।
স্মার্টফোনের দুনিয়ায় এখন সবচেয়ে বেশি দাপট চীনা ব্র্যান্ডগুলোর। তবে বিশ্বে জনপ্রিয়তা, উদ্ভাবন, বিক্রির হার এবং আয়ের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে যে ১০টি ব্র্যান্ড—
-
স্যামসাং (দক্ষিণ কোরিয়া): বিশ্বে সবচেয়ে বড় মোবাইল ব্র্যান্ড, বাজারে অংশীদারিত্ব প্রায় ২০%। ৮০ দেশে কার্যক্রম, বার্ষিক বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ৩০ কোটি ফোন।
-
অ্যাপল (যুক্তরাষ্ট্র): জনপ্রিয়তা ও নিরাপত্তার জন্য বিশ্বসেরা। বাজারে অংশীদারিত্ব প্রায় ১৬%, বার্ষিক বিক্রি ছাড়াতে পারে ২২ কোটির বেশি।
-
শাওমি (চীন): সাশ্রয়ী দাম ও দ্রুত চার্জের কারণে জনপ্রিয়। বৈশ্বিক শেয়ার ১৪% এর বেশি।
-
ভিভো (চীন): উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি ও স্টাইলিশ নকশায় তরুণদের কাছে প্রিয়।
-
অপো (চীন): আকর্ষণীয় নকশা ও দ্রুত চার্জ সুবিধায় ফ্যাশন সচেতন ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়।
-
ওয়ানপ্লাস (চীন): মাঝারি দামে ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা, টেকপ্রেমীদের কাছে সমাদৃত।
-
রিয়েলমি (চীন): গেমিং উপযোগী সাশ্রয়ী ফোনে তরুণদের প্রথম পছন্দ।
-
মটোরোলা (যুক্তরাষ্ট্র): অ্যান্ড্রয়েড অভিজ্ঞতা ও ভাঁজযোগ্য ডিজাইনে আলাদা অবস্থান তৈরি করেছে।
-
গুগল (যুক্তরাষ্ট্র): পিক্সেল ফোনের উন্নত ক্যামেরা ও এআই ভিত্তিক ফিচার ব্যবহারকারীদের মুগ্ধ করছে।
-
অনার (চীন): তুলনামূলক কম দামে আধুনিক সুবিধা ও আকর্ষণীয় নকশা গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয় করেছে।
শীর্ষ এই ব্র্যান্ডগুলোই আগামী দিনের মোবাইল বাজারে নেতৃত্ব দেবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।