বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে পরিবর্তন যেন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিটি মৌসুমেই দেখা যায় নতুন মালিকানা, নতুন নাম আর নতুন কাঠামো। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আসন্ন দ্বাদশ বিপিএলে আবারও পরিবর্তন এসেছে দলগুলোর নাম ও মালিকানায়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতিমধ্যেই নতুনভাবে গঠিত পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। এবার মোট পাঁচটি দল অংশ নিচ্ছে এই আসরে, যেগুলোর মধ্যে দু’টি দলের নাম অপরিবর্তিত থাকছে, আর বাকি তিনটির নাম নতুনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা ক্যাপিটালস ও রংপুর রাইডার্স – এই দুই দলের নাম অপরিবর্তিত থাকছে। ঢাকা ক্যাপিটালস পরিচালনা করবে রিমার্ক হারলেন এবং রংপুর রাইডার্সের পরিচালনায় থাকছে বসুন্ধরা কিংস। এই দুই দল পূর্বের মতোই তাদের পুরনো পরিচয়ে মাঠে নামবে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের দলটির মালিকানা এবার পেয়েছে ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেস লিমিটেড। নতুন মালিকানার অধীনে দলটির নাম রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। রাজশাহীর প্রতিনিধিত্ব করবে নাবিল গ্রুপ, এবং তাদের দলের নাম হবে রাজশাহী ওয়ারিয়রস। এছাড়া, ক্রিকেট উইথ সামি-এর মালিকানায় খেলবে সিলেটের দল, যার নতুন নাম রাখা হয়েছে সিলেট টাইটানস।
বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে প্রাথমিকভাবে মালিকানা দেওয়া হলেও কিছু শর্ত পূরণ না করলে তাদের অংশগ্রহণে বাধা আসতে পারে। বিশেষ করে, আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে যদি কোনো দল নির্ধারিত ১০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে ব্যর্থ হয়, তবে তারা এবারের বিপিএল ড্রাফটে অংশ নিতে পারবে না।
এদিকে, বিপিএলের দ্বাদশ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ নভেম্বর। আর টুর্নামেন্ট শুরু হবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সূচি অনুযায়ী, জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে এবারের বিপিএল মৌসুম।
বিসিবির এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বিপিএল আবারও নতুন রূপে মাঠে নামছে। যেখানে পুরনো নামের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন ব্র্যান্ডিং ও নতুন মালিকপক্ষ। অনেকেই মনে করছেন, দলগুলোর নাম ও মালিকানা স্থিতিশীল না হওয়ায় লিগের পরিচিতি ও ব্র্যান্ড ভ্যালুতে প্রভাব পড়তে পারে। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, নতুন কাঠামোর মধ্য দিয়েই বিপিএল আরও পেশাদার ও জনপ্রিয় টুর্নামেন্টে পরিণত হবে।
এই ঘোষণা ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে নতুন আগ্রহ তৈরি করেছে। প্রতিবারের মতো এবারও থাকবে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই, নতুন ক্রিকেটারদের উত্থান এবং আন্তর্জাতিক তারকাদের আগমন। তবে ভক্তদের মধ্যে একটাই প্রত্যাশা—বিপিএল যেন এবার স্থিতিশীল ও ধারাবাহিকভাবে চলতে পারে, যাতে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আরও সমৃদ্ধ হয়।
সবশেষে, বিসিবির এই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে বিপিএলের দ্বাদশ আসরের প্রস্তুতি এখন পুরোদমে শুরু হয়েছে। দলগুলো এখন খেলোয়াড় বাছাইয়ের দিকে নজর দেবে, আর সমর্থকরাও অপেক্ষা করছেন নতুন মৌসুমের রোমাঞ্চকর শুরু দেখার জন্য।



