বার্সেলোনার জার্মান কোচ হান্সি ফ্লিক তাঁর দলের খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলা মেনে চলার প্রতি সবসময় গুরুত্ব দেন। এই শৃঙ্খলাকে তিনি “গোল্ডেন রুলস” হিসেবে অভিহিত করেছেন, যেগুলো ভঙ্গ করলে কোনো ছাড় নেই। লা লিগার শেষ ম্যাচে হেতাফের বিপক্ষে ৩–০ গোলে জয় লাভের আগে এই নিয়ম ভঙ্গ করেছিলেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড মার্কাস রাশফোর্ড।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারাভাষ্যে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই রাশফোর্ড তাঁর খেলার মান উন্নয়নের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করছেন। কোচ ফ্লিক তাঁর সার্বিক পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হলেও, দলের নিয়ম অনুযায়ী দেরিতে অনুশীলনে যোগ দেওয়ায় রাশফোর্ডকে প্রথমার্ধে বসিয়ে রাখেন।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ম্যাচের দিন সকালে অনুশীলনে দেরিতে হাজির হওয়ায় রাশফোর্ডকে শাস্তি হিসেবে বেঞ্চে রাখা হয়। ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে বার্সেলোনা প্রথমার্ধে ফেরান তোরেসের দুটি গোলে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রাফিনিয়ার বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় রাশফোর্ডকে, এবং ৬২ মিনিটে তাঁর বানানো ক্রস থেকে দানি ওলমো দলের জয় নিশ্চিত করেন ৩–০ গোলে।
এই জয় রাশফোর্ডের জন্য বিশেষ। কারণ, বার্সেলোনার হয়ে শেষ তিন ম্যাচে তিনি দুটি করে গোল এবং অ্যাসিস্ট করেন। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে তাঁর ২০ গজ দূরের গোল ফুটবলপ্রেমীদের দীর্ঘদিন মনে থাকবে।
ফ্লিক শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে খুবই কঠোর। খেলোয়াড়দের দেরিতে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কারণে শাস্তি দেওয়া নতুন কিছু নয়। এর আগে জুলস কুন্দে, ইনাকি পেনা এবং ব্যালন ডি’অরের দাবিদার রাফিনিয়াও এমন শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন। রাশফোর্ডও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার কারণে আগে ঝামেলায় পড়েছিলেন।
যদিও রাশফোর্ডের শাস্তি নিয়ে ফ্লিক সরাসরি মন্তব্য করেননি, তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের ক্লান্তি থাকলে তাদের বিশ্রাম দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দরকার এমন খেলোয়াড় যারা প্রস্তুত এবং খেলার জন্য ফিট। মৌসুম এখনও শুরু হয়েছে, তাই সবাই আমাদের প্রয়োজন হবে।’
দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিষয়ে জার্মান কোচ বলেন, ‘শেষ কয়েকটি ম্যাচে খেলোয়াড়দের খেলার মান আমাকে খুশি করেছে। আমরা শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করেছি, এবং প্রতিটি ম্যাচেই জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল।’
বার্সেলোনার পরবর্তী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার রাতে ওভিয়েদোর মাঠে।