বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ছুটিতে বাড়িতে থাকা এক সেনাসদস্যের বসতবাড়ি থেকে তাঁর দুই শিশুসন্তানের গলাকাটা লাশ এবং স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খলিশাকান্দি গ্রামের একটি বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নিহত নারী ওই সেনাসদস্যের স্ত্রী। বয়স আটাশ বছর। তিনি বগুড়া সদর উপজেলার ভান্ডার পাইকার গ্রামের এক বাসিন্দার মেয়ে। নিহত দুই শিশুর মধ্যে বড়টি তিন বছর বয়সী মেয়ে এবং ছোটটি সাত মাস বয়সী ছেলে।
লাশ তিনটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরিবারের কর্তা এবং সেনাবাহিনীর এক সদস্যকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি ময়মনসিংহে সৈনিক পদে কর্মরত এবং ২০ নভেম্বর এক সপ্তাহের ছুটিতে বাড়িতে আসেন।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ছুটিতে থাকা সেনাসদস্য গতকাল রাত পর্যন্ত বাড়িতে ছিলেন। সকালে পরিবারের শয়নকক্ষ থেকে দুই শিশুসন্তানের গলাকাটা এবং স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেছেন, ঘটনার সময় তিনি পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন এবং ভেতরের পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু জানতেন না।
তিনি আরও জানান, শয়নকক্ষের বিছানা থেকে রক্তমাখা বটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের বরাতে জানা গেছে, সকালে শয়নকক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় ছিল। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় ওই সেনাসদস্য শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং তিনটি লাশ দেখতে পান। তাঁর দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে দুই শিশুকে হত্যা করার পর তাঁর স্ত্রী নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।



