পেনসিলভানিয়ায় এক ব্যক্তি দুই অভিবাসী কিশোরীকে অবৈধভাবে খামারে কাজ করানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেক্সিকো ও গুয়াতেমালা থেকে আনা ১৪ এবং ১৭ বছর বয়সী দুই কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে এবং জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিবাসন থেকে বিতাড়নের হুমকি দিয়ে কিশোরীদের চেস্টার কাউন্টির একটি মাশরুম খামারে সাত দিন ধরে কাজ করাতেন। তাদেরকে দেশটিতে নিয়ে আসার জন্য বিপুল অঙ্কের তথাকথিত “ঋণ” চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ছোট কিশোরীর নামে আসা বেতনের চেক নিজেই গ্রহণ করতেন এবং বড়টির আয়ের বেশিরভাগ অংশও আত্মসাৎ করতেন। এর ফলে কিশোরীরা কার্যত বিনা পারিশ্রমিকেই কাজ করতে বাধ্য হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর জানায়, ১৭ বছর বয়সী কিশোরী sponsorship প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়েছিল। সে মূলত অসুস্থ বাবার চিকিৎসা ও পরিবারকে সহায়তা করতে গুয়াতেমালা থেকে এসেছিল। অন্যদিকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরী কীভাবে মেক্সিকো থেকে আনা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে উভয়কেই বিদ্যালয়ের বাইরে রেখে অবিরাম শ্রমে নিয়োজিত করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল এ ঘটনাকে “অত্যন্ত ভয়াবহ ও অমানবিক” উল্লেখ করে বলেন, একজন ব্যক্তি যেভাবে অসহায় কিশোরীদের স্বপ্ন ও পরিবারের দুঃখ-দুর্দশার সুযোগ নিয়ে তাদের শোষণ করেছে তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক।
এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মানবপাচার, জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োগসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতে তার জামিনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ ডলার। তবে অনলাইনে আদালতের নথিতে মামলার বিস্তারিত তথ্য সোমবার রাতে পাওয়া যায়নি এবং তার পক্ষে কোনো আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে কি না তা-ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এই ঘটনাটি পেনসিলভানিয়ায় অভিবাসী কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি অভিবাসী শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার একটি উদাহরণ, যেখানে আর্থিক দুর্বলতা ও স্বপ্নকে কাজে লাগিয়ে মানবপাচারকারীরা তাদের শোষণ করে থাকে।