নিউ ইয়র্ক শহর প্রায় চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভারী তুষারপাতের মুখে পড়েছে। শীতের এক প্রবল ঝড় উত্তর-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশকে ঢেকে দিয়েছে, যার ফলে শহর ও রাজ্যের বড় অংশে যাতায়াত ব্যাহত হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক সিটির সেন্ট্রাল পার্কে ১১ সেন্টিমিটার (৪.৩ ইঞ্চি) তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা জানুয়ারি ২০২২ সালের পর সর্বোচ্চ। রাজ্যের অন্যান্য অংশে তুষারপাতের পরিমাণ ১৯ সেন্টিমিটার (৭.৫ ইঞ্চি) পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা (NWS) জানিয়েছে।
ঝড়ের আগেই রাজ্যের অর্ধেকের বেশি কাউন্টির জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর। শনিবার, নিউ ইয়র্ক এলাকার বেশিরভাগ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, যা ৯০০-এর বেশি। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৮,০০০-এর বেশি ফ্লাইট দেরিতে সম্পন্ন হয়েছে, ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী।
শনিবারের প্রাথমিক সময়ে, রাজ্যের মধ্যভাগ সাইরাস থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্বের লং আইল্যান্ড পর্যন্ত ৬ থেকে ১০ ইঞ্চি তুষারপাত হয়েছে। প্রতিবেশী নিউ জার্সিতেও ভারী তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। কানেকটিকাটের ফেয়ারফিল্ড কাউন্টিতেও ৯.১ ইঞ্চি তুষারপাত হয়েছে।
ঝড়ের তীব্রতা শনিবার সকালে কমে গিয়েছে, তবে তাপমাত্রা এখনও শূন্যের নিচে এবং সড়কগুলো বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে যে গলিত তুষার সড়ক ও সেতুতে কালো বরফ সৃষ্টি করতে পারে, যা পথচারী এবং চালকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
রাজ্য তাপমাত্রা কম থাকার কারণে বাড়ি ছাড়া থাকা মানুষদের নিরাপদে আনার জন্য “কোড ব্লু” কার্যক্রম চালু করেছে। এর মাধ্যমে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাবে ঘুমন্ত ও পথের মানুষরা।
অন্যদিকে, দেশের পশ্চিম অংশে ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণে সবচেয়ে তীব্র শীতকালীন ঝড়ের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বন্যার মতো মাটি ও কাদা জমে গাড়ি এবং অন্যান্য যানবাহন তলিয়ে গেছে।
নিউ ইয়র্ক এবং অন্যান্য প্রভাবিত অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য বরফঝড়ের কারণে যাতায়াত, স্কুল ও অফিস কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।



