নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৩৯ এর আসন্ন নির্বাচনে সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন ঘোষণা করেছেন স্টেট সিনেটের একজন প্রভাবশালী পদধারী। ২৮ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে এস্টোরিয়ার ৩৫ এভিনিউতে আলাদীন রেস্টুরেন্টের সামনে আয়োজিত এক প্রাণবন্ত নির্বাচনী সমাবেশে এই এনডোর্সমেন্ট ঘোষণা করা হয়। সমাবেশস্থলে বিপুল করতালীর মধ্য দিয়ে উপস্থিত জনগণ এই সমর্থনের প্রতি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে সিনেটের পদাধারী ব্যক্তি বলেন, ওই প্রার্থী শুধুমাত্র একজন স্নেহশীল মা নন, তিনি একজন দক্ষ শিক্ষক এবং বহুমুখী যোগ্যতার অধিকারী। তার মতে, নির্বাচিত হলে তিনি জনগণের প্রকৃত সেবক হিসেবে কাজ করবেন এবং এস্টোরিয়ার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ নিতে সহায়তা করবেন। বক্তা আরও উল্লেখ করেন, প্রার্থী বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য গর্বের প্রতীক এবং কমিউনিটির অনেকেই তাকে এখন অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে দেখছেন। তার এই অবস্থান ভবিষ্যতে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে উৎসাহিত করবে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।
নিজ বক্তব্যে প্রার্থী বলেন, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই নিজের কঠোর পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠা গড়ে তুলছেন এবং তাদের আশা প্রত্যাশা পূরণে শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, আলবেনীতে বাংলাদেশি এবং এস্টোরিয়ার মানুষের কণ্ঠস্বর পৌঁছে দিতে হলে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচিত হলে তিনি সবার পাশে থাকবেন এবং এলাকার মানুষের স্বপ্ন পূরণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবেন। মানুষের সমস্যাকে নিজের সমস্যা হিসেবে দেখাই হবে তার কাজের মূল নীতি বলে তিনি জানান।
সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন, একজন গর্বিত বাংলাদেশি হিসাবে প্রার্থীর বিজয় হলে বাংলাদেশি কমিউনিটির মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাদের মতে, এই সমাবেশ ছিল শুধু একটি নির্বাচনী আয়োজন নয়, বরং ছিল আনন্দ, আশাবাদ এবং শক্তিশালী ঐক্যের প্রদর্শনী। প্রার্থী এবং তার সমর্থকদের আত্মবিশ্বাস ছিল স্পষ্ট যে আসন্ন নির্বাচনে তারা একটি ইতিবাচক ফল পাবেন। এজন্য তারা বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ সকল ভোটারের কাছে আন্তরিক সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন সংগঠন এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সাপ্তাহিক বাংলাদেশ এর সম্পাদক, বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মূলধারার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সমাবেশে যোগ দেন। এছাড়া বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাডভোকেসী গ্রুপের সভাপতি, এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইউএসএ এবং শ্রীমঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউএসএ এর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বহু কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট, ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পুরো অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন একজন স্থানীয় সংগঠক যিনি দীর্ঘদিন ধরে কমিউনিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন।
এই সমাবেশটি শুধু রাজনৈতিক সমর্থনের একটি ঘোষণা ছিল না, বরং কমিউনিটির ঐক্য, আশা এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের প্রতি বিশ্বাসের এক শক্তিশালী প্রকাশও ছিল। নির্বাচনের আগে এমন জনসমাগম প্রমাণ করে যে প্রার্থী ইতোমধ্যে এলাকার মানুষের আস্থার জায়গায় পৌঁছে গেছেন এবং তাদের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে তিনি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবেন বলেই সবার বিশ্বাস।



