নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আসন্ন স্টেট অ্যাসেম্বলি নির্বাচনের প্রার্থীর ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠান। প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি সহ বিভিন্ন কমিউনিটির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রার্থীকে যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করার আহ্বান জানানো হয়।
২০ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় এস্টোরিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রবাসী সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রবাসীদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অগ্রযাত্রায় সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বাংলাদেশি কমিউনিটির ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতৃবৃন্দ, সমাজসেবক, ব্যবসায়ী, ফার্মাসিস্টসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনী রাজনীতি বাংলাদেশের তুলনায় অনেক ভিন্নধর্মী। এখানে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ও কার্যক্রম পরিচালনায় অর্থ সংগ্রহ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে কমিউনিটির অনেকেই এখনো জানেন না নির্বাচনী ফান্ড রেইজিং প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন হয় কিংবা কিভাবে চেকের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা যায়। তাই এসব বিষয়ে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, একজন প্রার্থীকে সফলভাবে নির্বাচনে বিজয়ী করতে হলে ব্যাপক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন, আর সে প্রচারের জন্য ফান্ড রেইজিং অপরিহার্য। তারা বলেন, আমেরিকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র প্রচেষ্টা নয়, আর্থিক সহায়তাও একটি বড় ভূমিকা রাখে। এজন্য প্রবাসী কমিউনিটির সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
সভায় প্রার্থী নিজ বক্তব্যে বলেন, “আমাদের কমিউনিটি এখন আমেরিকান রাজনীতিতে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক আগেই যে পথচলা শুরু হয়েছিল, তা এখন আরও দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। যদিও এখনো আমাদের কেউ স্টেট অ্যাসেম্বলি বা সিনেটে পৌঁছাতে পারেননি, তবুও আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “কমিউনিটির ভালোবাসা ও সহযোগিতা আমাকে অনুপ্রাণিত করছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই মিলে যদি এগিয়ে যাই, তাহলে একদিন আমাদের প্রতিনিধিত্ব মূলধারার রাজনীতিতে আরও সুসংহত হবে।”
উপস্থিত অতিথিরা তার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, কমিউনিটির ঐক্য ও সহযোগিতা ছাড়া বড় কোনো সাফল্য সম্ভব নয়। তারা ভবিষ্যতে আরও ফান্ড রেইজিং কার্যক্রম আয়োজনের পরিকল্পনা জানান এবং প্রার্থীর প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা করেন একজন সক্রিয় কমিউনিটি সংগঠক, যিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের সামাজিক কার্যক্রমে যুক্ত। পুরো আয়োজনটি ছিল পারস্পরিক সম্প্রীতি, সহযোগিতা ও ঐক্যের এক অনন্য উদাহরণ।
নিউইয়র্কের মতো বহুসাংস্কৃতিক নগরীতে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির এই ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে— এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেন উপস্থিত সবাই।



