নিউইয়র্ক নগরের এক শিল্পী সম্প্রতি এক অভাবনীয় ভিডিওর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি মাত্র কয়েক মুহূর্তেই ১৮ ইঞ্চি লম্বা একটি তলোয়ার গিলে ফেলেন, আর সেই দৃশ্য অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, তলোয়ারটি শিল্পীর গলার ভেতরের অংশ দিয়ে খাদ্যনালিতে প্রবেশ করছে। এই দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে। ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়, কারণ এতটা স্পষ্টভাবে এই প্রক্রিয়ার ভেতরের চিত্র সাধারণত প্রকাশ পায় না।
প্রসঙ্গত, তলোয়ার গেলা একটি বিশেষ ধরনের পারফর্মিং আর্ট। পেশাদার এই শিল্পী দীর্ঘদিন ধরে এর অনুশীলন করে আসছেন। তিনি আশা করছেন যে তাঁর প্রকাশিত ভিডিওটি এ শিল্পের বাস্তবতা তুলে ধরবে। অনেকেই এ ধরনের প্রদর্শনী দেখে ভুল করে ধরে নেন যে তলোয়ারটি ভাঁজ হয়ে যায় বা এটি কেবল একধরনের বিভ্রম। কিন্তু তাঁর এই ভিডিও সেই ভুল ধারণা ভাঙতে সহায়ক হয়েছে।
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ল্যারিঙ্গোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জানান, এই বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে গলার ভেতরের অংশ ও স্বরযন্ত্রের কার্যপ্রণালী অত্যন্ত স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ল্যারিঙ্গোস্কোপি নামে পরিচিত এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুধু গলা নয়, গান গাওয়া, কথা বলা বা গেলার সময় অঙ্গগুলো কীভাবে কাজ করে তা-ও পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্পিচ-ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথলজিস্ট মন্তব্য করেন যে, তিনি প্রতিনিয়ত মানুষের কণ্ঠস্বর ও গেলার প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেন। তবে একজন মানুষের গলার ভেতর দিয়ে সরাসরি তলোয়ার প্রবেশের বাস্তব দৃশ্য দেখা ছিল তাঁর জন্য একেবারেই অভাবনীয় অভিজ্ঞতা।
ভিডিও ধারণকারী গবেষক নিজেও জানিয়েছেন যে, এই বিশেষ শিল্পকলা প্রত্যক্ষ করে তিনি বিস্মিত হয়েছেন। তাঁর মতে, তলোয়ার গেলার শিল্প শুধু দক্ষতার নয়, একইসঙ্গে সাহস ও ঝুঁকিরও প্রতীক। আর এই ভিডিও নিঃসন্দেহে দর্শকদের কৌতূহল বাড়িয়ে তুলেছে।
এই ঘটনা প্রমাণ করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে এক অনন্য পারফর্মিং আর্ট কত দ্রুত বিশ্বব্যাপী মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।