মাগুরার মহম্মদপুরে আলোচিত জুলাই গণ–অভ্যুত্থান হত্যা মামলার এক আসামির পক্ষে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াতের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শহীদ ও আহতদের পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে জুলাই শহীদ ও আহত পরিবারগুলোর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহীদ শিক্ষার্থী সুমন শেখের মা সহ একাধিক পরিবার বক্তব্য রাখেন। তারা অভিযোগ করেন, যাদের প্রাণের বিনিময়ে আন্দোলনের ইতিহাস রচিত হয়েছে, তাদের রক্তের প্রতি বেইমানি করা হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থে একজন জামায়াত নেতা আওয়ামী লীগের এক নেতাকে নিজের দলের কর্মী পরিচয় দিয়ে মিথ্যা প্রত্যয়ন দিয়েছেন। এর মাধ্যমে মামলার আসামিকে জামিনে সহায়তার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট জামায়াত নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট মহম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন দুই শিক্ষার্থী—সুমন শেখ ও আহাদ আলী বিশ্বাস। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৫ আগস্ট থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলার ১৩ নম্বর আসামি শাহাবুদ্দিন মোল্যা, যিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, তার জামিনের জন্য জামায়াত পরিবারের সদস্য বলে প্রত্যয়ন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জেলা জামায়াত নেতা স্বীকার করেন যে কয়েক মাস আগে শাহাবুদ্দিন মোল্যার পরিবারের অনুরোধে চাকরির প্রয়োজনে তিনি প্রত্যয়ন দেন। তবে তখন তিনি জানতেন না, শাহাবুদ্দিন এই মামলার আসামি। বিষয়টি জানার পর তিনি প্রত্যয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ওই প্রত্যয়ন জামিনের জন্য ব্যবহার করা হয়নি এবং শাহাবুদ্দিন এখনও কারাগারেই আছেন।