এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, কনজারভেটিভ অ্যাক্টিভিস্ট চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডের পর তিনি চান দেশ আবারও ঐক্যের পথে ফিরুক। তবে তাঁর মতে, এ পথে প্রধান বাধা হলো দেশটির তথাকথিত “র্যাডিকাল লেফট” গোষ্ঠী।
সাবেক প্রেসিডেন্ট টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি চাই দেশটা সুস্থ হোক। কিন্তু আমরা এমন এক র্যাডিকাল লেফট গোষ্ঠীর মুখোমুখি যারা কখনোই ন্যায্যভাবে খেলে না।”
উল্লেখ্য, উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে কার্ককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ২২ বছর বয়সী টাইলার রবিনসনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি রাজনীতির প্রতি আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছিলেন। এমনকি হত্যার আগের এক ডিনারে কার্ককে সমালোচনা করেছিলেন বলেও জানা গেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রবিনসনের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বুলেট খোসায় ফ্যাসিবাদ, ইন্টারনেট মিম এবং ভিডিও গেমস সম্পর্কিত চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর হত্যাকাণ্ড, আগ্নেয়াস্ত্রের অপব্যবহার এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় দেশজুড়ে রাজনৈতিক সহনশীলতা ও বিভাজন নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্থানীয় গভর্নরও নাগরিকদের প্রতি সহনশীলতার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট আবারও অভিযোগ তুলেছেন, “তারা (লেফট) বর্তমান পরিস্থিতি পছন্দ করছে না। কিন্তু আমরা অনেক বড় জয় পাচ্ছি।” একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডে যেসব ব্যক্তি বা সংগঠন পরোক্ষভাবে জড়িত তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।
এর পাশাপাশি তিনি প্রকাশ্যে এক দাতা ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করে তাঁকে জেলে পাঠানোর আহ্বান জানান। তাঁর দাবি, ওই দাতা সংগঠন সহিংস বিক্ষোভে অর্থায়ন করেছে। যদিও সংশ্লিষ্ট সংগঠন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা কোনো সহিংস কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করেনি। তাদের মূল লক্ষ্য মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করা।