Sunday, October 5, 2025
spot_img
Homeপ্রযুক্তি জগৎচীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নতুন স্মার্টফোন ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স উন্মোচন করে স্যামসাংকে চ্যালেঞ্জ...

চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নতুন স্মার্টফোন ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স উন্মোচন করে স্যামসাংকে চ্যালেঞ্জ জানালো

চীনের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বুধবার এক আন্তর্জাতিক আয়োজনের মাধ্যমে একাধিক নতুন ডিভাইস এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স উন্মোচন করেছে। এর কেন্দ্রে ছিল তাদের সর্বশেষ স্মার্টফোন সিরিজ, যা সরাসরি স্যামসাংকে টার্গেট করার মতো পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

জার্মানির মিউনিখে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটি উন্মোচন করেছে Xiaomi 15T সিরিজ, যার অন্তর্ভুক্ত দুটি স্মার্টফোন—Xiaomi 15T এবং Xiaomi 15T Pro। ডিভাইস দুটি ইউরোপীয় বাজারে যথাক্রমে ৬৪৯ ইউরো (প্রায় ৭৬৬ ডলার) এবং ৭৯৯ ইউরো দামে বিক্রি হবে। প্রতিযোগিতামূলক দামে সর্বশেষ প্রযুক্তি সংযোজন করে বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করা—এটাই এই সিরিজের মূল কৌশল।

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, নতুন এই ফোনগুলিতে রয়েছে উন্নতমানের ট্রিপল ক্যামেরা সিস্টেম, ৬.৮৩ ইঞ্চি বড় ডিসপ্লে এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ক্ষমতা। এসব বৈশিষ্ট্য স্মার্টফোনগুলোকে স্যামসাং-এর মধ্যম সারির A সিরিজ এবং শীর্ষস্থানীয় S সিরিজ–এর শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলতে পারে।

তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, ইউরোপীয় বাজারে স্যামসাং S25 মডেলের দাম শুরু ৭৯৯ ইউরো থেকে, আর এর শীর্ষ মডেল S25 Ultra বিক্রি হচ্ছে ১,২৪৯ ইউরো দামে। অর্থাৎ, Xiaomi 15T কম খরচে উচ্চমানের ফিচার নিয়ে আসছে, যা ভোক্তাদের কাছে এটিকে “আফোর্ডেবল ফ্ল্যাগশিপ” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

বিশ্ববাজারে গত কয়েক বছরে প্রতিষ্ঠানটি শুধু স্মার্টফোনেই সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং তারা ইতোমধ্যে ওয়াশিং মেশিন, রেফ্রিজারেটর থেকে শুরু করে ইলেকট্রিক গাড়ি পর্যন্ত নানা পণ্য বাজারে এনেছে। ইউরোপে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বাজার শেয়ারের দিক থেকে স্যামসাং ও অ্যাপল-এর পর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে তাদের উচ্চমানের এবং মধ্যম মানের উভয় ধরনের ডিভাইস, যা প্রতিযোগিতায় বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোকে।

এর আগে চলতি বছরেই প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের Xiaomi 15 সিরিজ উন্মোচন করেছে। পাশাপাশি চীনা বাজারে আসছে তাদের নতুন ১৭ সিরিজ, যা হবে প্রিমিয়াম স্তরের ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস।

বিশ্লেষকদের মতে, Xiaomi 15T সিরিজ প্রতিষ্ঠানটির “প্রিমিয়ামাইজেশন” কৌশলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশেষ করে, যারা কম বাজেটেও উচ্চ স্পেসিফিকেশন চাই, তাদের লক্ষ্য করেই এই স্মার্টফোনগুলো তৈরি করা হয়েছে।

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির দৃষ্টি শুধু স্মার্টফোনে সীমাবদ্ধ নয়। একই দিনে তারা বিশ্ববাজারে তাদের Mijia ব্র্যান্ডের হোম অ্যাপ্লায়েন্স উন্মোচন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন এবং এয়ার কন্ডিশনার। এই পদক্ষেপটি অনেকটা স্যামসাংয়ের মডেলের অনুসরণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ স্যামসাংও দীর্ঘদিন ধরে স্মার্টফোন, টেলিভিশন থেকে শুরু করে গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি পর্যন্ত বহুমুখী পণ্য সরবরাহ করছে।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, Xiaomi তাদের প্রতিযোগীদের সবক্ষেত্রেই চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম, কারণ তাদের পণ্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ভালো মান বজায় রেখেই আক্রমণাত্মক দামে বাজারে আনা। এর ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে প্রতিষ্ঠানের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হতে পারে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments