যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল সংগঠনের এক সহ-প্রতিষ্ঠাতা সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফর করে অভিবাসনবিরোধী ও রক্ষণশীল বার্তা প্রচার করেছিলেন। তবে দেশে ফেরার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি নিহত হন।
সিউলে আয়োজিত এক রক্ষণশীল ফোরামে তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে তরুণদের, বিশেষ করে পুরুষদের, রক্ষণশীলতার দিকে ঝোঁকা এখন একটি বৈশ্বিক প্রবণতা।” তিনি আরও দাবি করেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান গণতান্ত্রিক হলেও জন্মহার কমে যাওয়া, একক জাতিগত গঠন এবং ডানপন্থী আন্দোলনের প্রসারে বিশেষভাবে আলোচনায় রয়েছে।
সিউলের অনুষ্ঠানে তিনি অভিবাসন ও কমিউনিজমের সমালোচনা করেন এবং খ্রিস্টধর্মের বিস্তারকে প্রশংসা করেন। তার ভাষ্যে দক্ষিণ কোরিয়াকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির “হুমকি” থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া তিনি দেশের সর্বনিম্ন জন্মহার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এরপর তিনি টোকিও সফরে গিয়ে স্থানীয় এক চরম-ডানপন্থী রাজনৈতিক দলের আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে তিনি জাপানের জন্মহার বৃদ্ধির আহ্বান জানান এবং অভিবাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বক্তৃতায় তিনি বলেন, “বিদেশি জনগণের অতিরিক্ত প্রবেশ ঘটলে জাপান আর জাপান থাকবে না।”
উক্ত রাজনৈতিক দলের এক সংসদ সদস্যের পাশে বসে তিনি বলেন, “আমরা বৈশ্বিকতার বিরুদ্ধে বড় লড়াই চালাচ্ছি, এবং জাপানেও এর বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে উঠছে দেখে আমি উচ্ছ্বসিত।”
তবে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার অল্প কিছুদিন পরই তিনি এক বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। জাপানি দলের নেতারা সামাজিক মাধ্যমে গভীর শোক প্রকাশ করে জানান, তারা তার ভাবনা ও বার্তাকে সামনে এগিয়ে নেবেন।