আমেরিকার আইওয়া অঙ্গরাজ্যের মাসকাটিন শহরে অভিবাসী এক যুবক ডাকাতির শিকার হয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর বেঁচে গেলেও এখন আটক ও বহিষ্কারের শঙ্কায় রয়েছেন। স্থানীয় পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২১ জুন ভোরে এক যুবকের গুলিতে গুরুতর আহত হন ২৮ বছর বয়সী মেক্সিকান এই অভিবাসী। বুকে ও পায়ে গুলি লাগলেও দ্রুত জরুরি চিকিৎসার কারণে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। চিকিৎসার পর ক্রাচ ভর দিয়ে হাসপাতাল ছাড়লেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি।
ঘটনার মাত্র তিন দিন পর পুলিশ স্টেশনে নিজের গাড়ি ও নগদ টাকা ফেরত নিতে গেলে হঠাৎ করেই গ্রেফতার হন তিনি। কয়েক মাস আগের একটি পুরোনো ট্রাফিক মামলায় গ্রেফতারের পরপরই তাকে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে তিনি আটক রয়েছেন।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতির কারণে অপরাধের শিকার অভিবাসীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আগে এ ধরনের ভুক্তভোগীরা ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি পেতেন। কিন্তু নতুন নীতিতে অনেকেই আটক হচ্ছেন কিংবা বহিষ্কারের মুখে পড়ছেন। এর ফলে অনেকে পুলিশকে সহযোগিতা করতে বা অপরাধের তথ্য জানাতে ভয় পাচ্ছেন।
আটক অভিবাসীর পরিবার জানায়, তিনি এখনো গুরুতর শারীরিক যন্ত্রণায় ভুগছেন, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবা পাচ্ছেন না। তার ৯ বছরের সন্তান মায়ের কাছে থাকলেও বাবার সঙ্গে যোগাযোগ সীমিত। পরিবারের আর্থিক সংকটও বেড়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে এক নারী আদালতে অপরাধ স্বীকার করেছেন, আরেকজনের বিচার চলছে। আইনজীবীরা বলছেন, ভুক্তভোগী অভিবাসী ‘ইউ ভিসা’র যোগ্য হলেও স্থানীয় প্রসিকিউটরের সার্টিফিকেশন ছাড়া আবেদন অগ্রসর হচ্ছে না। এদিকে আদালত ইতিমধ্যেই তার অনির্দিষ্টকালের আটককে অবৈধ ঘোষণা করে জামিন শুনানির নির্দেশ দিয়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, কঠোর নীতি অভিবাসী সমাজকে ভীত করে তুলছে এবং জননিরাপত্তা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে।