Sunday, October 5, 2025
spot_img
Homeবিজনেসকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি সত্যিই কর্মক্ষেত্রে বার্নআউট কমাতে পারে?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি সত্যিই কর্মক্ষেত্রে বার্নআউট কমাতে পারে?

বার্নআউট বা অতিরিক্ত মানসিক চাপ এখন শুধু ব্যক্তিগত সমস্যা নয়, এটি ব্যবসায়ও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে “পেশাগত সমস্যা” হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, মার্কিন কোম্পানিগুলো বার্ষিক প্রতি কর্মচারীর জন্য প্রায় $4,000 থেকে $21,000 খরচ করছে বার্নআউট মোকাবেলায়।

অনেক প্রতিষ্ঠান এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) সাহায্য নিচ্ছে, যেমন ChatGPT, Copilot — যা পুনরাবৃত্তিমূলক কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় করতে, তথ্য সংক্ষেপ করতে এবং প্রকল্প পরিচালনা সহজ করতে সহায়ক। 47টি দেশের 32,000-এর বেশি কর্মচারীর ওপর এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, 58% কর্মী সচেতনভাবে কাজের সময় AI ব্যবহার করছে।

তবে এখনও অনেক কর্মী প্রতিদিন প্রায় ২.৬ ঘণ্টা এমন কাজ করতে ব্যয় করছে যা AI সহজেই করতে পারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, AI একটি “সহজতর সহকারী” হিসেবে কাজ করতে পারে, কর্মীদের মানসিক চাপ কমাতে পারবে এবং কাজের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

ফেব্রুয়ারি 2025-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, AI ব্যবহারের ফলে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ প্রায় ২৫% কমেছে। AI সিস্টেম কর্মীদের বার্নআউট ঝুঁকি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে।

তবে AI ব্যবহারে কিছু সাবধানতার কথাও আছে। যারা দিনভর AI ব্যবহার করছে, তারা অনিয়মিত কাজের চাপ অনুভব করতে পারে। AI লিটারেসি বা দক্ষতা না থাকলে এটি অতিরিক্ত চাপের কারণও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করান, AI কখনও কখনও শুধু কাজের বোঝা কমানোর পরিবর্তে আরও কাজের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।

সর্বোপরি, সঠিকভাবে ব্যবহৃত AI কর্মক্ষেত্রে বার্নআউট কমাতে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। তবে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কর্মীদের মস্তিষ্কের বিশ্রাম ও পুনঃসেটের সুযোগ থাকা অপরিহার্য।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments