ডিজনি বর্তমানে প্রবল রাজনৈতিক ও সামাজিক চাপের মুখে পড়েছে। এবিসি’র জনপ্রিয় লেট-নাইট হোস্ট জিমি কিমেলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুষ্ঠান থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর কোম্পানিটি যেন ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে গেছে।
ঘটনার পরপরই ক্যালিফোর্নিয়ার বারব্যাঙ্কে ডিজনি স্টুডিওর বাইরে প্রতিবাদ মিছিল হয়। একইসাথে বিভিন্ন সেলিব্রিটি সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দেন এবং একাংশ রাজনৈতিক নেতাদের চাপও বেড়ে যায়। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট— উভয় শিবির থেকেই কোম্পানির বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
কিমেলকে সরানো হয় বুধবার, চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করার পর। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতা বনাম “ক্যানসেল কালচার” বনাম “কনসিকোয়েন্স কালচার” বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। কেউ বলছেন কিমেলকে সরানো হলো রাজনৈতিক চাপে, আবার কেউ এটিকে তার কাজের যৌক্তিক পরিণতি বলে উল্লেখ করছেন।
ডিজনির সাবেক প্রধান নির্বাহী প্রকাশ্যে বর্তমান নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন। অপরদিকে একাধিক শিল্পী ও প্রযোজক প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে, কিমেলকে ফিরিয়ে না আনলে তারা ডিজনির সাথে কাজ করবেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ডিজনি বয়কটের আহ্বান, অনেকেই তাদের Disney+, Hulu ও ESPN সাবস্ক্রিপশন বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন।
ডানপন্থী রাজনীতিকদের কেউ কেউ কিমেলের বক্তব্যের সমালোচনা করলেও, ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের চেয়ারম্যানের পদক্ষেপকে ‘অতিরিক্ত বিপজ্জনক’ বলেও মন্তব্য করেছেন। একই সময়ে, একাধিক কৌতুকাভিনেতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব দলীয় বিভাজন ভুলে একে বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এরই মধ্যে #CancelDisneyPlus ও #BoycottDisney হ্যাশট্যাগ গুগল ট্রেন্ডসে শীর্ষে উঠেছে। তবে এই বয়কট কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত। অনেকেই মনে করছেন, এই বিতর্ক ডিজনির ব্র্যান্ড ইমেজকে দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের চাপে ফেলতে পারে।