ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে নিজের তিন কন্যাকে হত্যার অভিযোগে পলাতক এক ব্যক্তির মরদেহ সদ্য আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার স্থানীয় শেরিফ অফিস থেকে জানানো হয়, লেভেনওর্থ শহরের দক্ষিণে দুর্গম এক বনাঞ্চলে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মরদেহটি প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তির বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
ঘটনাটি শুরু হয় গত ২ জুন, যখন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি সন্তানদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে না দিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। এরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে এবং শিশুদের মৃতদেহ এক ক্যাম্পগ্রাউন্ডের পাশে উদ্ধার করে। সেখানেই তার সাদা রঙের পিকআপ ট্রাকও পাওয়া যায়, যার গায়ে রক্তের চিহ্ন ছিল। তদন্ত কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, শিশুদের হাত প্লাস্টিকের টাই দিয়ে বেঁধে তাদের মাথায় প্লাস্টিক ব্যাগ পরানো হয়েছিল। প্রাথমিক প্রতিবেদনে শ্বাসরোধে মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন প্রাক্তন সেনাসদস্য ও ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য ছিলেন। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও গৃহহীনতার কারণে তিনি দীর্ঘদিন অস্থির জীবনযাপন করছিলেন বলে তদন্ত নথিতে উল্লেখ রয়েছে। ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল যে তিনি বেঁচে নেই।
শিশুদের মা অভিযোগ করেছিলেন, অভিযুক্তের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরও সন্তানের বিষয়ে তিনি সবসময় দায়িত্বশীল ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মানসিক চিকিৎসা ও রাগ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ মানতে অস্বীকার করেন তিনি।
এদিকে, তিন শিশু নিহত হওয়ার পর অ্যাম্বার অ্যালার্ট ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি ওঠে। কারণ স্থানীয় পুলিশ শিশু নিখোঁজ হওয়ার পর জরুরি বার্তা পাঠাতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ তা কার্যকর করেনি।
শিশুদের মা পরে জনসমক্ষে এসে কন্যাদের স্মৃতির কথা তুলে ধরে বলেন, “তারা অসাধারণ ছিল। আমি চাই তাদের জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষা সবার হৃদয়ে বেঁচে থাকুক।”