পাশাপাশি চলমান এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হওয়ার পর পাকিস্তান অধিনায়ক একটি স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় দলের আচরণ হতাশাজনক এবং এটি শুধু পাকিস্তান দলকে নয়, পুরো ক্রিকেটকেই অসম্মান করেছে।
ফাইনাল ম্যাচ শেষে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে ভারত যা করেছে, তা পুরোপুরি অসম্মানজনক। তারা আমাদের সঙ্গে হাত মেলেনি, আমাদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায়নি। এটা শুধু আমাদের দলের প্রতি নয়, ক্রিকেটের প্রতি একটি অসভ্য আচরণ। আমরা নিজেদের দায়িত্বে ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়েছিলাম, কারণ আমরা সেখানে পদক নিয়ে উপস্থিত ছিলাম। তবে ভারতীয় দল পুরোপুরি ভিন্ন আচরণ করেছে।’
মাঠে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। তবুও, পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ভারতীয় খেলোয়াড়রা আংশিকভাবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট থেকে ট্রফি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। বিশেষত, পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভারতীয় দল হাত মেলেনি, এবং ফটোসেশনে অংশ নেয়নি। এই আচরণ পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দেখেছে পাকিস্তান অধিনায়ক।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই এশিয়া কাপের ফাইনালসহ তিনবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। প্রতিটি ম্যাচে, টসের সময় ভারতীয় অধিনায়ক পাকিস্তান অধিনায়কের সঙ্গে হাত মেলেনি। পাকিস্তান অধিনায়ক জোর দিয়ে বলেছেন, সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কোনো সমস্যা নেই। তবে, তাকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেটি তিনি মান্য করেছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘প্রতিপক্ষ দলের সঙ্গে হাত না মেলানো ক্রিকেটের ইতিহাসে আগে দেখা যায়নি। এটি ক্রিকেটের নৈতিক চেতনার জন্য ক্ষতিকর। ফাইনালের শেষে ভারতীয় দলের আচরণ, ট্রফি না নেওয়া এবং খালি হাতে উদযাপন, সবই পুরোনো ঘটনাগুলোর ফলাফল। এটি ক্রিকেটের জন্য একটি নেতিবাচক বার্তা।’
পাকিস্তান অধিনায়কের মতে, ভারতীয় দলের টস ও ম্যাচের পর প্রতিপক্ষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা, ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে আলাদা অবস্থান নেওয়া—all এই ঘটনা পুরোপুরি ভারতীয় দলের দায়িত্ব। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু পাকিস্তানের অধিনায়ক নই, আমি একজন ক্রিকেটপ্রেমী। যদি শিশুদের এগুলো দেখার সুযোগ হয়, তবে তারা ভুল বার্তা গ্রহণ করছে। আমাদের আচরণ উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়, কিন্তু এই ধরনের আচরণ তা সম্পূর্ণ বিপরীত করে।’
এদিকে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের আচরণ বন্ধ হবে এবং ক্রিকেটের মূল্যবোধ রক্ষা পাবে।
এই মন্তব্যগুলো ক্রিকেট দুনিয়ায় নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রিকেটের মাঠে প্রতিযোগিতা থাকবেই, কিন্তু আন্তরিকতা ও সম্মান বজায় রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।