মর্টগেজ রেটে এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় একদিনের পতন দেখা গেছে। শুক্রবার ৩০ বছরের নির্দিষ্ট সুদের মর্টগেজ হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬.২৯ শতাংশে, যা আগের দিনের তুলনায় ১৬ বেসিস পয়েন্ট কম। এ পতনের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল আগস্টের চাকরির প্রতিবেদন।
এটি গত বছরের অক্টোবরে দেখা সর্বনিম্ন হার এবং গত আগস্টের পর থেকে সবচেয়ে বড় একদিনের পতন। দীর্ঘদিন ধরে ৬ শতাংশের বেশি হারে আটকে থাকা মর্টগেজ বাজার এবার অবশেষে নিম্নমুখী ধারা দেখাচ্ছে। অনেক ঋণদাতার ক্ষেত্রে সুদের হার ইতিমধ্যেই ৫ শতাংশের উচ্চ পর্যায়ে নেমে এসেছে বলে জানানো হয়েছে।
গত মে মাসে ৩০ বছরের স্থায়ী মর্টগেজ হার সর্বোচ্চ ৭.০৮ শতাংশে পৌঁছালেও বর্তমানে তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এতে ক্রেতাদের জন্য বাড়ি কেনা অনেকটাই সহজ হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, আগস্টের জাতীয় গড় দামের তুলনায় সামান্য বেশি—৪ লাখ ৫০ হাজার ডলারের একটি বাড়ি ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে কিনতে গেলে, ৭ শতাংশ হারে মাসিক কিস্তি হতো ২,৩৯৫ ডলার। কিন্তু ৬.২৯ শতাংশ হারে সেই কিস্তি দাঁড়াচ্ছে ২,২২৬ ডলার, যা মাসে ১৬৯ ডলার সাশ্রয় করবে। অনেক ক্রেতার জন্য এ পার্থক্য মর্টগেজ পাওয়া এবং না পাওয়ার মধ্যে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
এই খবরে শেয়ারবাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রধান হোমবিল্ডার কোম্পানিগুলোর শেয়ার প্রায় ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ ছাড়া হোমবিল্ডিং সংক্রান্ত ইটিএফও গত এক মাসে প্রায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, সুদের এই পতন কি সত্যিই ক্রেতাদের বাজারে ফিরিয়ে আনতে পারবে? মর্টগেজ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বাড়ি কেনার জন্য মর্টগেজ আবেদন গত সপ্তাহে এক মাস আগের তুলনায় ৬.৬ শতাংশ কম ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক ক্রেতা এখনও অপেক্ষায় আছেন যে সুদের হার ৫ শতাংশের নিচে নামবে কি না। কারণ বাড়ির দাম এখনো উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে এবং জাতীয়ভাবে তা কমার কোনো প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া অর্থনীতি ও চাকরির বাজার নিয়ে অনিশ্চয়তাও অনেক ক্রেতাকে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় ফেলছে।
ফলাফল হিসেবে, গৃহ ক্রেতা, বিক্রেতা ও নির্মাতাদের জন্য এটি এক ধরনের ‘কঠিন গ্রীষ্মকাল’ তৈরি করেছে। তবে বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সুদের হার যদি আরও কমে আসে, তবে তা গৃহ ক্রেতাদের নতুন করে সক্রিয় করতে পারে।