মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন এক ঘোষণায় জানালেন, এখন থেকে এইচ-১বি ভিসার জন্য প্রতি বছর ১ লাখ ডলার ফি দিতে হবে। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “সব বড় কোম্পানিকে আমরা এ বিষয়ে অবহিত করেছি। আমেরিকান স্নাতকদের প্রশিক্ষণ দিন, বিদেশিদের এনে আমাদের চাকরি কেড়ে নেওয়ার সুযোগ বন্ধ করুন।”
মার্কিন অর্থনীতিতে এইচ-১বি ভিসাধারীদের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই ভিসার মাধ্যমে আসা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ চাকরি কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট। তবে প্রকৌশল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও এই ভিসায় নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।
শুধু চলতি বছরের প্রথমার্ধেই অ্যামাজন ১০ হাজারের বেশি এইচ-১বি ভিসা অনুমোদন পায়। মাইক্রোসফট ও মেটা প্রত্যেকে ৫ হাজারের বেশি অনুমোদন পেয়েছে। প্রতিবছর ৬৫ হাজার সাধারণ এবং অতিরিক্ত ২০ হাজার উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্য এই ভিসা দেওয়া হয়।
সমালোচকরা মনে করেন, এইচ-১বি প্রোগ্রামের ফলে স্থানীয় মার্কিন কর্মীদের সুযোগ কমে যায় এবং মজুরি কম থাকে। অন্যদিকে সমর্থকদের মতে, এটি আমেরিকাকে দক্ষ জনবল পেতে সহায়তা করে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখে।
প্রবীণ অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন, প্রেসিডেন্টের পক্ষে এত বড় ফি আরোপের আইনি ক্ষমতা আছে কি না। কারণ আইন অনুযায়ী ভিসা ফি কেবল প্রসেসিং খরচ মেটানোর জন্য নির্ধারণ করার ক্ষমতাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভিসা আবেদনকারীদের একটি লটারির জন্য নাম নথিভুক্ত করতে স্বল্প ফি দিতে হয়, এরপর নির্বাচিত হলে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে, যা সাধারণত নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে।
এটি ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বশেষ পদক্ষেপ, যা অভিবাসন সীমিত করা এবং রাজস্ব বাড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ। এর আগে তারা উচ্চ ওভারস্টে রেটের দেশগুলো থেকে আসা পর্যটক ও ব্যবসায়িক ভিসায় ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বন্ড চাওয়ার নিয়ম চালু করে। পাশাপাশি একাধিক দেশ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।