Thursday, November 20, 2025
spot_img
Homeবিশেষ প্রতিবেদনউৎপাতক এবং চিকিৎসার প্রয়োজন: জলবায়ু কর্মীকে ট্রাম্পের সমালোচনা

উৎপাতক এবং চিকিৎসার প্রয়োজন: জলবায়ু কর্মীকে ট্রাম্পের সমালোচনা

সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক জলবায়ু অধিকারকর্মী একজন নারী পরিবেশ সচেতন ব্যক্তি হিসেবে গাজার অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করতে গিয়ে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হাতে আটক হন। তিনি সুইডিশ নৌযান বহরের সঙ্গে সমুদ্রপথে গাজার দিকে এগোচ্ছিলেন, যেখানে ৪০০-এর বেশি অধিকারকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এই নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামে পরিচিত এবং তারা সেখানে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দিতে এবং অবরোধ ভাঙতে চেয়েছিল।

ইসরায়েলি নৌবাহিনী শুক্রবার এই নৌবহরের অধিকাংশ সদস্যকে আটক করে, এবং পরে সপ্তাহান্তে ১৩০-এর বেশি অধিকারকর্মীকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়। সোমবার আরও কিছু অধিকারকর্মীকে গ্রিস ও স্লোভাকিয়ায় ফেরত পাঠানোর ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নারী অধিকারকর্মীও এই ফেরতের মধ্যে ছিলেন।

ঘটনার পর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক চরম সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এই অধিকারকর্মী একজন ‘উৎপাত সৃষ্টিকারী’। তাঁর মন্তব্য অনুযায়ী, তিনি বর্তমানে পরিবেশ নিয়ে কাজের চেয়ে বিভিন্ন কার্যকলাপে ব্যস্ত, যা অনেক সময় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘তাঁকে চিকিৎসা প্রদানের প্রয়োজন হতে পারে। রাগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা রয়েছে।’

অভিযুক্ত নারী অধিকারকর্মী ইসরায়েলি বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর তাঁর কয়েকজন সহকর্মী ও আইনজীবী অভিযোগ করেন, আটক অবস্থায় তাদের সহধর্মী অধিকারকর্মীকে নির্যাতন করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছে।

এটি নতুন ঘটনা নয়; দীর্ঘদিন ধরেই এই অধিকারকর্মী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে বিবাদ চলে আসছে। বিভিন্ন সময়ে তারা একে অপরকে সমালোচনা করেছেন এবং ২০১৯ সালে এই নারীকে ‘টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি’ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তখনও ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল, ‘তাঁর রাগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা রয়েছে’।

প্রতিক্রিয়ায় অভিযুক্ত নারী অধিকারকর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর এক্স প্রোফাইলে লিখেছেন, ‘এমন একজন কিশোরী, যে তার রাগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করছে’। তিনি তাঁর পরিচয় দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন যে, ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সমালোচনা ও বিতর্কের মাঝেও নিজের লক্ষ্য এবং কাজের প্রতি সচেতন রয়েছেন।

এই ঘটনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ সচেতনতার এবং মানবাধিকার বিষয়ক আন্দোলনগুলো আবারও আলোচনায় এসেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের প্রতিক্রিয়া সমাজে বিতর্ক সৃষ্টি করলেও পরিবেশ সচেতন আন্দোলনকে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments