যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দেশ কখনোই উগ্র ডানপন্থী বিক্ষোভকারীদের কাছে নতি স্বীকার করবে না। তিনি বলেন, ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতা ঢাকতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
গত শনিবার লন্ডনে আয়োজিত ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ শীর্ষক অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে এক লাখেরও বেশি মানুষ অংশ নেয়। সমাবেশে বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী প্রতীক দেখা যায় এবং উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়। বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২৬ জন কর্মকর্তা আহত হন এবং ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী রোববার এক বক্তব্যে জানান, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হলেও সহিংসতা, জাতিগত বিদ্বেষ কিংবা ভীতি প্রদর্শন কখনোই সহ্য করা হবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্যের শক্তি হলো সহনশীলতা, বৈচিত্র্য ও পারস্পরিক সম্মান, আর পতাকা এ বৈচিত্র্যময় ঐক্যের প্রতীক।
বিক্ষোভ মঞ্চে উপস্থিত নেতারা দাবি করেন, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্ব পরিকল্পিত আক্রমণের মুখে রয়েছে। এ সময় ফরাসি এক রাজনীতিক ইউরোপীয় সংস্কৃতির ক্ষয়িষ্ণুতা নিয়ে বক্তব্য দেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে টেসলার প্রধানও জরুরি সরকার পরিবর্তনের আহ্বান জানান।
এদিকে একই দিনে লন্ডনে বর্ণবাদবিরোধী সংগঠনের ডাকে পাল্টা সমাবেশে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অংশ নেয়। সেখানে বৈচিত্র্য ও মানবাধিকারের পক্ষে স্লোগান দেওয়া হয়।